রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্ত এলাকায় জনসচেতনতামূলক সভা সেমিনার করলেও অনুপ্রবেশ থামছে না। গত ১ মাসে বিজিবি সদস্যরা উখিয়ার পালংখালী, বালুখালী, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্র“ পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে নারী-পুরুষ শিশুসহ ৮০৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে তাদের যথাযথ খাদ্য ও মানবিক সেবা দিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সূত্রমতে, গত ১৬ মার্চ বিজিবি’র সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বৃদ্ধির তথ্য সম্বলিত একটি চিঠি প্রেরণ করে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সীমান্তে বসবাসরত একশ্রেণির দালাল চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে। যে কারণে অধিকাংশ রোহিঙ্গা বিজিবি’র ধরছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। সম্প্রতি ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে কক্সবাজার বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পিএসসি তার বক্তব্যে সীমান্ত এলাকায় পাড়া মহল্লায় কমিটি গঠন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে গ্রামবাসীকে স্বোচ্ছার হওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই বক্তব্য রাখলেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে কেউ এগিয়ে আসেনি। যার ফলে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। বিজিবি’র হাতে যেসমস্ত রোহিঙ্গা আটক হচ্ছে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলেও দালালদের নিয়ন্ত্রণে যেসমস্ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে তারা অনায়াসে গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে সক্ষম হচ্ছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সত্যতা স্বীকার করে জানান, দালালদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।