চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একপক্ষের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে চলছেনা শিক্ষক বহনকারী বাস ও শাটল ট্রেন। আজ সোমবার সকালে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্দেশে কোনো শাটল ট্রেন ছেড়ে যায়নি। একই সাথে শিক্ষক বহনকারী বাস ক্যাম্পাস থেকে শহরে না আসায় শহর থেকে যেতে পারেনি কোনো শিক্ষক। ষোলশহর স্টেশন মাস্টার শাহাব উদ্দিন বলেন, অবরোধ প্রত্যাহার না করায় সকাল থেকে কোনো শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। বিশ্ববিদ্যায় পরিবহন দপ্তরের পরিচালক শফিউল আযম বলেন, নিরাপত্তা না থাকার কারণে ক্যাম্পাস থেকে শহর শিক্ষকদের আনতে যায়নি শিক্ষক বাস।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্তসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবিবার সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলনে নামে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। অনির্দিষ্টকালের অবরোধের গতকাল প্রথম দিনে শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দিয়ে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এর ফলে রবিবারও সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো শাটল ট্রেনই নগর থেকে ছেড়ে যেতে পারেনি। পাশাপাশি অবরোধের সমর্থনে ক্যাম্পাসে একটি সিএনজি অটোরিকশা ও দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙচুর করেছে অবরোধকারীরা।
গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর ফটক এলাকার নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার দুই দিন পর ২৩ নভেম্বর তৈরি করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় আত্মহত্যার ফলে শ্বাস রোধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবার এ প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে দাবি করে আসছিল দিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মরদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের আদালতে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর নামও রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।