১৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

অভিনন্দন প্রিয় মানুষ, প্রিয় বন্ধু এএইচ সেলিম উল্লাহ

২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারির উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বহিস্কার হন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাদেকুর রহমান ওয়ারেচি। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন উজানটিয়ার বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। তখন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাঁর আপন ছোটভাই এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

অভিযোগ ছিল উজানটিয়ার মোহনা দিয়ে লবণ, কার্গো বোট, মাছ ধরার ট্রলার গেলেই চাঁদা দিতে হতো। তখন জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান। তিনি চাঁদার বিষয়ে বখতিয়ার-শহিদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করলেন। পরবর্তীতে এঘটনায় একটি রিপোর্ট হলো ‘উজানটিয়ার মোহনায় দুই ভাইয়ের রাজত্ব’। তৎকালিন সময়ে চকরিয়ায় এক সাংবাদিকের অফিসে বসে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতার পরামর্শে আমার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানি মামলা করে বসলেন বখতিয়ার উদ্দিন। তখন রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে আমার মামলাটি ওয়ারেচি ছাদেকুর রহমান চালাতেন।

মামলাটি হওয়ার পর এবং এর সূত্র ধরে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের তৎকালিন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারি হিসেবে পরিচিত নুরুল আজিমের সঙ্গে তখনকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এমপি সাফিয়া খাতুনের পেকুয়া বাজারের ঋণদান সমিতি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত একটি মিটিংয়ে আমার সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় তখন আমরা সাফিয়া খাতুনের সবরকমের সংবাদ বর্জন করেছিলাম।

এরপর নানা শঙ্কা থেকে আমি পেকুয়া ছেড়ে কক্সবাজার থিতু হই। তখন আমি দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা করি। দৈনিক কক্সবাজারের শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মরহুম আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম আঙ্কেলই মূলত আমাকে কক্সবাজার নিয়ে যান।

(কালের পরিক্রমায় উপরে উল্লেখিত বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আজিম-বর্তমানে সবার সঙ্গে আমার ভালো ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক)

কক্সবাজারে যখন যাই তখন সেখানেও আমি সাংবাদিকতা শুরু করি। মূলত ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। আমি আপাদমস্তক সংবাদের মানুষ। সংবাদে না থাকলে নিজেকে নিজে খুঁজে পাই না। তখনকার সময়ে কক্সবাজারে দুজন সাংবাদিকের আন্তরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক আমার সারাজীবন মনে থাকবে। একজন রাশেদুল মজিদ অন্যজন এএইচ সেলিম উল্লাহ।

তখন সেলিম উল্লাহ উখিয়া থেকে কক্সবাজার এসে হিমছড়িতে সাংবাদিকতা করতেন। হিমছড়ির তখন রথি-মহারথিদের একজন তিনি। সংবাদের কাজে কোথাও ছুঁটতে হলে আমাকে সঙ্গী করতেন। ক্লাসমেট বা সমবয়সী না হলেও ঘনিষ্ট বন্ধু হয়ে যাই দুজনে। সেই থেকে সম্পর্ক। একদিনের জন্যও কোনো কিছু নিয়ে মনোমালিন্য হয়নি। তিনি এতো চমৎকার মানুষ যে মনোমালিন্যের কোনো সুযোগ নেই। আপাদমস্তক একজন সংবাদের মানুষ তিনি। ঘটনার পেছনের ঘটনা তুলে আনতে পছন্দ করেন। দক্ষতা, পরিশ্রম আজ তাকে এনে দিয়েছে সফলতা।

তিনি তাঁর কর্মস্থল ‘দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ’ পত্রিকায় সদ্য পদোন্নতি পেয়েছেন। হয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি থেকে স্টাফ রিপোর্টার। একটি জেলায় বসে স্টাফ রিপোর্টারের মর্যাদা ভোগ করা চাট্টিখানি কথা নয়।

অভিনন্দন বন্ধু। অনেক শুভ কামনা তোর জন্য। দেরিতে শুভেচ্ছা জানানোয় ক্ষমা প্রার্থনা করছি। অনেক ভালো থাকিস। দোয়া করি।

লেখকঃ এস এম হানিফ
চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি
দৈনিক প্রথম আলো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।