যশোরের মণিরামপুরে কথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার সূত্র ধরে অভিযুক্ত মিঠুন চক্রবর্তী ও তার সহযোগী রতন দাসকে আটক করেছে পুলিশ।
একই সাথে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মেডিকেল ও জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য সোমবার (২০ মে) পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম এনামুল হক মামলা ও দুই জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল ছাত্রী জানায়, তার বাড়ি উপজেলার পাড়ালা গ্রামে। সে মনোহরপুর ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকায় মামা বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। অপরদিকে আত্মীয়তার সূত্রে খাকুন্দি গ্রামের গোবিন্দ কুমারের বাড়িতে থাকতো সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দলীয়বাজার-মাদরা গ্রামের শিবু চক্রবর্তীর ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী। পাশাপাশি গ্রামে থাকায় ও স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মিঠুনের সাথে পরিচয় হয় ওই ছাত্রীর। পরিচয় থেকে এলাকার রতন নামের এক যুবকের সহায়তায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিঠুন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ফলে অন্ত:সত্ত্বা হয় সে। বর্তমানে ওই কিশোরী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম এনামুল হক বলেন,স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মিঠুন ও তার সহযোগি রতনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ওই ছাত্রীর মেডিকেল সম্পন্ন এবং জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।