২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

অসম্ভবকে সম্ভব করে কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনা

প্যারিস সেন্ত জার্মেইর মাঠে হেরে আসার পর ন্যু ক্যাম্পে অবিশ্বাস্য এক জয় পেল বার্সেলোনা। ইতিহাস নতুন করে লিখল তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগ কিংবা ইউরোপীয় কাপের ইতিহাসে প্রথম লেগে চার গোলে পিছিয়ে থাকার পর ঘুরে দাঁড়ানো প্রথম দল হলো বার্সা। বুধবার শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ৬-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে উঠেছে কাতালান জায়ান্টরা।

প্যারিস সেন্ত জার্মেইর মাঠে ৪-০ গোলে হেরে গিয়েছিল বার্সেলোনা। এর পর ইতিহাসকে জিজ্ঞাসা- প্রথম লেগে এতো বড় ব্যবধানে হারের পর কেউ কি পরের পর্বে উঠতে পেরেছিল? উত্তর ছিল ‘না’। আর তাই চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার ‘নিশ্চিত’ বিদায় দেখে তাদের জন্য কফিন বানিয়ে রেখেছিল সবাই। কিন্তু সেই সবাইকে পাত্তা দেয়নি মেসি-ইনিয়েস্তারা। শিষ্যদের উপর আস্থা রেখেছিলেন বিদায়ী কোচ লুই এনরিকে। আর সেই আস্থা ও বিশ্বাসে ভর করে অসম্ভবকে সম্ভব করল কাতালান জায়ান্টরা।

বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে কঠিন এক মিশনে নেমেছিল বার্সা। যেখানে ৪ গোলে পিছিয়ে থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর নজির নেই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে। তবে অতীতকে একপাশে সরিয়ে রেখে ঠিকই ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে বার্সা। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতে যেখানে অন্তত চার গোল করার দরকার সেখানে একটি অ্যাওয়ে গোল হজম করল তারা। লক্ষ্য দাঁড়াল ৬ গোলে জয়ের। তাতেও সমস্যা হয়নি। শেষ ৭ মিনিটে ৩ গোল করে অবিশ্বাস্য এক কীর্তি গড়ল বার্সা। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ গোলে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেল তারা।


প্রথমার্ধে পিএসজিকে ২ গোলে পেছনে ফেলে দারুণ সম্ভাবনা জাগায় বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ব্যবধান তিনগুণ করেন লিওনেল মেসি। কিন্তু হঠাৎ খেঁই হারায় তারা। ফরাসি ক্লাবটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোল করে বসে। এ গোলটি হওয়ার পরই বার্সার জন্য পাহাড় সমান দায়িত্ব দাঁড়ায়। নেইমারের সৌজন্যে সেই পাহাড় টপকে যায় ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

মাত্র ৩ মিনিটে লুই সুয়ারেসের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। বিরতিতে যাওয়া পাঁচ মিনিট আগে আন্দ্রে ইনিয়েস্তা ও রাফিনহার একটি আক্রমণ বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন পিএসজির কুরজাওয়া। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ব্যবধান ৩-০ করে বার্সা। নেইমার বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ৫০ মিনিটের ওই পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বাঁদিক দিয়ে জালে পাঠান লিওনেল মেসি। এতে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ পেনাল্টি গোলে রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ভাগ বসান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ১১তম পেনাল্টি গোল করেন তিনি।
৫০ মিনিটের মধ্যে তিন গোলে এগিয়ে থেকে ভালোভাবে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বার্সা। কিন্তু তাদের হতাশ করে ৬২ মিনিটে গোল শোধ করেন পিএসজির তারকা এডিনসন কাভানি। ওই অ্যাওয়ে গোলে স্বপ্নভঙ্গ হতে বসেছিল বার্সার। তখন তাদের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ গোলের, যেটা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। কারণ ৮৮ মিনিটেও স্কোরশিট ছিল ৩-১ গোলের। নেইমার সেটা বদলে দিলেন অবিশ্বাস্যভাবে। ব্রাজিলিয়ান তারকার দুর্দান্ত এক ফ্রিকিক বেঁকে গিয়ে পিএসজির জালে ঢোকে। গোলরক্ষক ট্র্যাপ নড়াচড়ারও সুযোগ পাননি। এর পর ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে সুয়ারেস পেনাল্টি আদায় করেন পিএসজির ডিবক্সে। নেইমার ৫-১ গোল করলে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিশ্চিত হয়। কিন্তু বার্সার নিয়তি চূড়ান্ত হয় নির্ধারিত সময়ে। ৯৫ মিনিটে নেইমারের বানিয়ে দেওয়া বলে গোলমুখের সামনে থাকা সের্হিয়ো রবার্তো পা লাগান। পুরো মৌসুমে একটিও গোল না পাওয়া রবার্তোর ওই শটটি সহজেই লক্ষ্যভেদ হয়। একই সঙ্গে রচিত হয় বার্সার অদম্য ইতিহাস, টিকে থাকল ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন।

শেষ ষোলোর অন্য ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বেনফিকাকে। পর্তুগিজদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে এসেছিল ডর্টমুন্ড। দুই লেগে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল জার্মান জায়ান্টরা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।