২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৩ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন : খাদ্যমন্ত্রী

“দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই। হাওরাঞ্চলে বোরো আবাদ নষ্টের অজুহাতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও সরকারবিরোধীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ”

আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নীলফামারীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, “সারা দেশে বোরো মৌসুমে এক কোটি ৯১ লাখ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ছয় লাখ মেট্রিকটন উৎপাদন হয় হাওরাঞ্চলে। প্রতিবছর সেখানে কিছু না কিছু ক্ষতি হয়। সে তুলনায় এবারের পরিমাণটা একটু বেশি। ” তিনি বলেন, “দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বোরো আবাদে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে আরো ছয় লাখ মেট্রিকটনসহ মোট ১২ লাখ মেট্রিকটন ধান কম উৎপাদিত হবে। ওই ১২ লাখ মেট্রিনটন ধান নষ্ট হওয়ার ফলে দেশে গজব নেমে আসবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। ”

খাদ্য সংকট নেই উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে। যদি মজুদ নাই থাকতো, তাহলে দূর্যোগ এলাকায় সরকারের মজুদ থেকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে কিভাবে? আসলে সরকারের বিরুদ্ধে যারা বড় বড় কথা বলেন, তারা তো মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন না। ” তিলকে তাল করে অহেতুক প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ জানান তিনি।

চাল আমদানিতে শুল্ক আরোপের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, “এক সময় চাল আমদানিতে শুল্ক ছিল না। সেটির সুযোগ নিয়েছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। সে সময় তারা ভারতের চালের বাজার সয়লাব করেছিলেন। এ কারণে সেটি প্রত্যাহার না করেই দরপত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে ঘাটতি পূরণ করা হবে। ”

জেলা প্রশাসক খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নীলফামারী ৩ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবীর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, সিভিল সার্জন আব্দুর রশীদ, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন অভি প্রমুখ। পরে জেলার ২৫ জন মিল মালিকের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন অভি জানান, জেলায় এবার ১৫ হাজার ৯১৫ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৫ জন মিল মালিক চাল সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।