২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

অস্ত্র মামলায় ওয়ারেন্ট নিয়ে প্রকাশ্যে ফজলুল করিম সাঈদী

বিশেষ প্রতিবেদকঃ চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্ট নিয়ে কক্সবাজার জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় যোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে সারাদিন সরব ছিল কক্সবাজার ও চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকা। গুঞ্জন শুরু হয় খোদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে। জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় একজন ওয়ারেন্টভ‚ক্ত আসামী হয়ে প্রকাশ্যে অংশ নেয়ার বিষয়টি জোরালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্নভাবে। অবশ্য, জেলা পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসিকে।

আইন শৃংখলা কমিটির সভায় অংশ নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানিয়েছেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ২০১৪ সালের ঢাকা পল্টন থানা মামলা নং-১২ এর প্রধান আসামী। এই মামলায় কারাবরণ করার পর জামিনে বের হয়ে আসেন সাঈদী। কিন্তু, আদালতে নিয়মিত হাজিরা না থাকায় তার বিরুদ্ধে ১৫ জুন ২০১৯ইং আদালত একটি ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। ওই ওয়ারেন্ট ইস্যু নিয়ে সব জায়গায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে তাকে গ্রেপ্তার করছে না।

জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি মো: হাবিবুর রহমান জানান, ‘ফজলুল করিম সাঈদীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট এখনও থানায় পৌছেনি। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে তো তাকে গ্রেপ্তার করা যেত। কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা পুলিশের কাজ নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টের বিষয়টি শুনেছি। একইভাবে তিনি জামিনে আসেন সেটিও আমরা জেনেছি। তবে ওয়ারেন্ট সম্পর্কিত অফিসিয়াল কোন কাগজপত্র এখনও আমাদের হাতে পৌছেনি। আমি চকরিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি দ্রæত দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি’।

২০১৪ সালের ৭ মে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও তার সহযোগি সাহাব উদ্দিন (৪৭) কে অস্ত্রসহ ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল পল্টন মডেল থানা পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে পল্টন থানা পুলিশের একটি দল পল্টন মোড় বাইতুল মোকারত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আসলে পরবর্তীতে আদালতে নিয়মিত হাজিরা না থাকায় আদালত পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আশরাফুল আফসার। সভায় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শাজাহান আলী, সিভিল সার্জন ডা: আবদুল মতিন, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এবং সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান, মোহাম্মদ আলী, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি এডভোকেট দীপংকর বড়–য়া সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। সভায় জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, মাদক পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, যানজট নিরসন, বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী স্থান ও সমুদ্র সৈকতে অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, নির্মানাধীন কলাতলী সড়ক দ্রæত মেরামতকাজ সম্পন্নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
এদিকে বক্তব্য জানতে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।