৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  নাফনদে দুই সহোদর শিশুর মৃত্যু    ●  ধান চাষ করে নৌকায় চড়া উখিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা   ●  পরিবহন সমিতির নামে বদি শ্যালকের কোটি টাকা লুটপাট   ●  ‘আমি কোন গাড়িতে উঠেছিলাম সেটা আমি নিজেও জানতাম না’ -সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  চকরিয়ায় পাহাড়ি ঢলে ভেসে শিশুর মৃত্যু   ●  ‘গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে গিয়েছেন শেখ হাসিনা’   ●  “পালংখালী ইউনিয়ন  জামায়াতের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত    ●  পেকুয়ায় সড়কে  শৃঙ্খলা ফেরাতে যৌথ অভিযান   ●  সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর মানববন্ধন ও স্মারক লিপি    ●  উখিয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

আইনশৃংখলার অবদান রাখায় জেলায় শ্রেষ্টত্বের সম্মাননা পেলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার জেলা পুলিশের মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে থানায় সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ও সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাফল্য জনক ভূমিকা রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ থানার অফিসার ইনচার্জের সম্মাননা পেলেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তাকে।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইনের সভাপতিত্বে মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স এ সম্মাননা দেয়া ও ক্রাইম কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোসেন। শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা প্রাপ্তিতে থানার সকল সহকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। এ স্বীকৃতি থানার সকল সহকর্মীদের অবদান, বলেন তিনি।

২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর টেকনাফ মডেল থানায় যোগদান করেন করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (পিপিএমবার)
তিনি যোগদানে পর টেকনাফকে মাদকমুক্ত করবেন বলে জোরালো ভাবে ঘোষনা দিয়েছিলেন। যেমন কথা তেমন কাজ। যোগদানের প্রায় তিন মাসে বন্দুকযুদ্ধে ৩০ জনের অধিক ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় বিপুল পরিমান ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এমনকি ওসি প্রদীপের ইয়াবা বিরোধী তৎপরতায় সীমান্ত শহর টেকনাফের অনেক আলোচিত ইয়াবা কারবারিরা গা ঢাকা দিয়েছে এবং ইয়াবাকারবারিদের একটি বড় অংশ আত্নসমপর্ণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় প্রায় শতাধিক ইয়াবা কারবারি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

টেকনাফ থানায় যোগ দেওয়ার পূর্বে তিনি কক্সবাজার জেলার মহেশখালি থানা, উখিয়া থানা, কক্সবাজার সদর মডেল থানা, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ, ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে চাকুরীতে যোগদান করা এই পুলিশ কর্মকর্তা চাকুরীজীবনে দুইবার পুলিশ বিভাগের সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার পিপিএম পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তিনি ওই পুরস্কার গ্রহন করেন। তিনি আইজিপি ব্যাচ পেয়েছেন দুই বার। পেয়েছেন জাতীয় শান্তি রক্ষা পদকও।
এছাড়াও ওসি প্রদীপ কুমার দাশ উখিয়া থানায় কর্মরত থাকাকালে কমিউনিটি পুলিশিং সক্রিয় করার জন্য তৎকালীন আইজিপি নুর মোহাম্মদের কাছে পুরস্কৃত হয়েছেন। এই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজারের মহেশখালি থানায় যোগদান করেন। তিনি যোগদানে ২০ মাসে মহেশখালিতে আইনশৃংখলার আমূল পরিবর্তন এসেছে। স্বস্তি ফিরেছে সন্ত্রাসী জনপদ মহেশখালিতে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।