বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার পৌরসভার আগামি ১২ জুনের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। ইশতেহারে মেয়র প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, কক্সবাজার পৌরসভার চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং স্মার্ট নগরায়নে ৩৭ টি উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
মাহাবুব বলেছেন, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর কক্সবাজার নগরবাসির জন্য আবাসান প্রকল্প, কবর ব্যবস্থাপনা, বয়স্কদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম, ডোর টু ডোর বর্জ্য অপসারণ, কক্সবাজার থীম পার্ক, কক্সবাজার স্মার্ট সিটি, ক্যাশলেস পর্যটন এলাকা সহ ৩৭ টি পরিকল্পনা ধারাবাহিক বাস্তবায়ন করা হবে।
শনিবার বিকাল ৪ টায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আয়োজিত ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম, এডভোকেট রণজিত বড়–য়া, আবদুল খালেক, মাহামুদুল হক চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক রহিম উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহামুদুল করিম মাদু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল রহমান রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তার প্রকাশিত নির্বাচনী ইশতেহারে ৩৭ পরিকল্পনা যথাক্রমে :
১. দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকারি সকল সংস্থা/দপ্তরের সমন্বয়ে কক্সবাজার পৌরসভাকে একটি দূর্নীতিমুক্ত আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ দেশপ্রেমিক জনবলের সমন্বয়ে গণমূখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও সেবামূখী জনবান্ধব স্মার্ট পৌর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা এবং পৌর নাগরিকদের আইনগত সকল অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
২. দ্রæততম সময়ের মধ্যে সম্মানিত পৌরবাসী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে যুগোপযোগী মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হবে এবং মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
৩. শহর পারিষ্কার রাখার নিমিত্তে রাত্রীকালীন ডোর টু ডোর ক্লোজড মেথডে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। রাস্তায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলাকে নিরুৎসাহিত করা হবে।
৪. শহরে সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ডিস্যালাইনেশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পৌরবাসীর তীব্র সুপেয় পানি সংকট সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পৌরবাসীকে নামমাত্র মূল্যে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে।
৫. প্রত্যেক ধর্মের প্রতি সহনশীল নীতি অনুসরণ করা হবে এবং পৌরসভার কোন নাগরিক যখনই মৃত্যুবরণ করবে তখনই নিজ নিজ ধর্মের নিয়মানুসারে সম্পূর্ণ পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় জানাযা/শেষকৃত্য সম্পূন্ন করা হবে। এজন্য পৌরসভার উদ্যোগে নিজস্ব হটলাইন ব্যাবস্থা চালু করা হবে। কবর ব্যবস্থাপনা/শেষকৃত্য পৌরসভার খরচে সম্পূন্ন হবে।
৬. দেশের আগামী ভবিষ্যত তরুণদের সহযোগিতায় নগরের সমস্ত কার্যক্রম পৌর তরুন কমিটি গঠন পূর্বক বিধি বিধান অনুসারে প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হবে। পৌরসভার বাসিন্দা দক্ষ/অদক্ষ বিপুল সংখ্যক তরুণকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, বিনিয়োগে আগ্রহী ও সহযোগিতা করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
৭. উন্নত পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে। এডিবি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় জনবান্ধব সেন্ট্রাল স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) নির্মাণ করা হবে।
৮. সরকারি বিধি মোতাবেক চলমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যুগোপযোগী কর্মমূখী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা, প্রয়োজনে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে প্রতিষ্ঠানসমূহকে আধুনিকায়ন করা হবে।
৯. সড়ক, গলি, উপগলিতে পর্যাপ্ত এলইডি লাইট স্থাপন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ, পৌরসভায় স্থাপিত বিভিন্ন সৌন্দর্যবন্ধন স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
১০. শহরে ভিক্ষাবৃত্তি, ভবঘুরেপনা নিরুৎসাহিত করা হবে এবং দ্রæততম সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে পরিকল্পিতভাবে তাদের পুণর্বাসন করা হবে।
১১. আমাদের সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রত্যেক ওয়ার্ডে পৌরসভার উদ্যোগে সরকারি জমি লীজ নিয়ে খেলারমাঠ, পাঠাগার, ক্লাব, জিমনেশিয়াম গড়ে তোলা হবে।
১২. পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় পৌরবাসীর সুবিধার্থে স্বল্প খরচে পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য পৌর হজ্ব কাফেলা গঠনপূর্বক যাবতীয় কার্যক্রম সম্পূন্ন করা হবে।
১৩. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের জন্য ক্যাশলেস ব্যবস্থা প্রবর্তণ করে পৌরসভার আয় বৃদ্ধি করা হবে, ফলে পৌরবাসী অতিরিক্ত পৌরকর থেকে পরিত্রাণ পাবে।
১৪. মশা-মাছি মুক্ত নগর গড়তে কার্যকরী পরিবেশ বান্ধব কীটনাশক প্রয়োগ, বদ্ধ জলাশয় ও ডোবা নিয়মিত পরিষ্কার করা হবে। যেটা ইতিপূর্বে আমি কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকাকালীন অত্যন্ত সুনামের সাথে চলমান রেখেছিলাম।
১৫. অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণে নিরুৎসাহিত করা হবে। পৌরবাসীকে পরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মাণে সহযোগিতা ও বিনিয়োগ সহজীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, এতে শহরে আবাসন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং পৌরনাগরিকের সম্পদের মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।
১৬. নগরবাসী ও আগত পর্যটকদের জন্য দ্রæতগতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হবে।
১৭. পৌরবাসীর সুবিধার্থে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আলাদা পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
১৮. পৌরসভাস্থ ভূমিহীন/গৃহহীনদের মাথা গুজাবার ঠাই করে দেওয়ার জন্য পৌরসভার নিজস্ব অর্থে বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ী নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হবে এবং নামমাত্র মূল্যে/বিনামূল্যে মালিকানার ব্যবস্থা করা হবে।
১৯. পৌরসভার নিজস্ব জমিতে নাগরিক বান্ধব নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। পৌরসভায় বসবাসরত সম্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আলেম, সাংবাদিক, রেমিটেন্স যোদ্ধা, পিছিয়ে পড়া মানুষ ও অস্বচ্ছল সম্মানিত পৌর নাগরিকদের জন্য সরকারি জমি লীজ নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবাসন বাস্তবায়ন করা হবে।
২০. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আধুনিক উন্নয়ন এবং চলমান নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি সহ পর্যটন ও পরিবেশবান্ধব বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।
২১. চলমান বাজারের অবকাঠামো উন্নয়ন করে আধুনিক শপিংমল নির্মাণ পূর্বক অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
২২. বিভিন্ন সহযোগিতা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বিধিবিধান অনুসারে বার্মিজ শিল্প, রাবার শিল্প, শুটকি শিল্প, পান-সুপারি শিল্প, হ্যাচারী শিল্প, মৎস্য শিল্প, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন, বার্মিজ আচার শিল্প, বার্মিজ প্রসাধনী শিল্প, আধুনিক পর্যটন শিল্প, জলাধার শিল্প ইত্যাদি সুনজরে এনে পৌরবাসীর কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করা হবে।
২৩. কক্সবাজার পৌর শিশু পার্ক স্থাপন, পৌর থীম পার্ক স্থাপন, স্বতন্ত্র নাইট বীচ মার্কেট স্থাপন, বাঁকখালী নদী সংলগ্ন জায়গায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি, কক্সবাজার স্মার্ট সিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন, সমুদ্রে সেইফ সুইমিং নেট জোন স্থাপন, পরিবেশ ও পর্যটনবান্ধব জেটি নির্মাণ করে পৌরবাসীর বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
২৪. শব্দ দূষণ ও যানজট নিরসন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
২৫. চলমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়ন, পিপিপি, বি২বি এবং বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষাখাতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে। এছাড়াও বিদেশে অবস্থানরত স্বচ্ছল বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঐতিহ্যবাহী শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করা হবে। পৌরসভার তরুণ প্রজন্ম, অর্ধ শিক্ষিত ও বেকার জনগোষ্ঠীকে নিদৃর্ষ্ট আন্তর্জাতিক ভাষা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা, ড্রাইভিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবসম্পদ রপ্তানি সহজীকরণের মধ্যমে বেকারত্ব নিরসন করা হবে।
২৬. পৌরসভার যাবতীয় ডাটাবেজ তৈরিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
২৭. প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য যাতে নালা বা নদীতে পড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট আইএনজিও, এনজিও, পরিবেশবিদদের নিয়ে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
২৮. অপচনশীল দ্রব্য ও প্লাস্টিক বর্জ্যের জন্য আলাদা ডাম্পিং এর মাধ্যমে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট করে জ্বলানী ও বিদ্যুৎ উৎপন্নের ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
২৯. মহিলা উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলাদা মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে এবং এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
৩০. স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে পৌরবাসীর সমন্বয়ে ভলান্টিয়ার নিয়োগের মাধ্যমে রোগীর পরামর্শ সেবা বৃর্দ্ধি করা হবে এবং দূর্যোগকালীন সময়েও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে। হাসপাতালের পাশ্ববর্তী সড়কসমূহে নির্বিঘেœ রোগীদের চলাচলের জন্য বাস্তবমূখী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৩১. বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে। পৌরবাসীকে পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপনে উৎসাহিত করা, পৌরসভার নিজ উদ্যোগে পৌর উদ্যান তৈরি করা এবং বাঁকখালী নদীর পাশে সবুজ বেষ্টনী তৈরী করা হবে।
৩২. বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। কক্সবাজার পৌরবাসীর অফুরন্ত সম্পদ থাকা সত্তে¡ও এগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় না অনেক ক্ষেত্রে পৌরসভার সঠিক নেতা নির্বাচন ও অবকাঠামো নির্মাণে ব্যর্থতার কারণে। অথচ স্বল্প বিনিয়োগ, সমষ্টিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে এখানে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমন্বয়ে পর্যটন খাত ও সৈকত পর্যটনে কক্সবাজার নগরবাসীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে আধুনিক সুবিধা যোগ করে এই খাত থেকে নগর উন্নয়নে বাড়তি আয়ে জোর দেওয়া হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য অভিজ্ঞ এবং শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে। পিপিপি, বি২বি, জিওবি ফান্ড এবং বিদেশি অবকাঠামো উন্নয়ন সংস্থা, জাইকা, এডিবি ইত্যাদি সংস্থার অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দ্রæততম সময়ের মধ্যে বিনিয়োগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে এবং পৌর পরিষদের মাসিক বোর্ড সভার মাধ্যমে সবকিছুর পর্যালোচনা ও অনুমোদন নেওয়া হবে।
৩৩. যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী উঠা-নামার কারণে কক্সবাজার পৌর এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পর্যটন নগরী হিসেবে পর্যটকবাহী গাড়ী এবং জেলা-উপজেলা থেকে গাড়ি কক্সবাজার আসায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কে শৃঙ্খলা আনায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে আধুনিক যাত্রী ছাউনী ও বহুতল গাড়ি পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে। সরু ও আঁকাবাঁকা সড়ক দীর্ঘমেয়াদী মাস্টারপ্লানের মাধ্যমে প্রশস্থ করে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা করা হবে।
৩৪. জমির দাম যত বাড়ে, দখল বাড়ে আরো দ্রæত। নালা, নর্দমা, খাল-নদী দখল সমস্যা মহামারীর মত ব্যাপক। সবার সমন্বিত উদ্যোগে নাগরিকবান্ধব নগর গড়তে সকল নালা, নর্দমা, খাল-নদী দখল মুক্ত করা হবে। এছাড়া কিছু সংস্থার অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণের ফলে শহরের উপগলি নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতায় অথবা পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবমূখী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। শহরের দক্ষিণাংশের পানি উত্তর দিকে বাঁকখালী নদীতে যাতে স্মুথলী পতিত হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শহরের ভেতরের নালা-নর্দমা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার এবং প্রয়োজনে নালা-নর্দমা খনন করার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
৩৫. মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হোস্ট কমিউনিটির বরাদ্দকৃত অর্থ প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ও অর্থ প্রাপ্তির মাধ্যমে নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে এবং নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
৩৬. পৌরসভার আশ্রয়হীন বয়স্কদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করা হবে।
৩৭. প্রশাসনিক সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড ভিত্তিক কাউন্সিলর অফিস নির্মাণ করা হবে। সেখান থেকে জন্ম সনদ, জাতীয়তা সনদ সহ সমস্ত নাগরিক সেবা প্রদান করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।