বিশেষ প্রতিবেদকঃ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ বলেছেন, আওয়ামীলীগ এখন ‘টেররিস্টলীগ’ হিসেবে বিবেচিত। কারণ এ দলের সভানেত্রীসহ সবাই তাদের লেজুড়বৃত্তি হীন অন্যদলকে এবং দলের নেতৃবৃন্দককে মানুষ হিসেবে গণ্য করেন না। সবকিছু সন্ত্রাসী স্টাইলে দমন করতে চান। সেই মনোভাব দেখিয়ে প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধ করে মৃত্যুরর মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরে রোহিঙ্গাদের ঢল আসা যখন শুরু হয় তখনও সরকারের মনোভাব ইতিবাচক ছিলনা। দুস্কৃতিকারী মনোভাব ছিল বলেই বিএনপির ত্রাণ বিতরণ আটকে দেয়। এখন মিয়ানমারের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি বিশ্ব মিড়িয়ায় প্রচার পাবার পর একন লোক দেখানো উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
রবিবার সকালে কক্সবাজারে প্রেস ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভীআরো বলেন, প্রথম মানবিক মনোভাব প্রকাশ করেন বেগম খালেদা জিয়া। যে মুহুর্তে প্রয়োজন ছিল তখন সরকার নির্লিপ্ত ছিল। সরকার নির্লিপ্ত না থাকলে এতো রোহিঙ্গার প্রানহানি হতো না।
তিনি মিয়ানমার সরকারপ্রধান অংসান সুচির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কারণটি খতিয়ে দেখবেন বলে অংসান সুচির ঘোষণাটি মানবতার সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। তার বক্তব্য দায়িত্ব এড়ানোর একটি অজুহাত। তার কথার ঢংয়ে মনে হয় রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার বলে কিছু নেই।
রিজভী বলেন, নিজ দেশে নির্যাতনের শিকার আর এখানে এসে মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য খাবারের প্রয়োজন আর সুস্থতার জন্য স্যানিটেশন। কোনটাই পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রতিদিন অনেক নারী-শিশু মারা যাচ্ছে।
বিএনপি নেতা আরো বলেন, সরকারের সুষ্ট ব্যবস্থাপনার অভাবে দীর্ঘ ২৮দিন চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি গেছে। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সহায়তায় সেনাবাহিনী নামানোর ফলে এখন শৃংখলা ফিরছে।
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে বিএনপি ইচ্ছুখ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভীষিকাময় পরিস্থিতির শিকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় কক্সবাজার জেলা বিএনপি অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কারণ বিএনপি এটাকে জাতীয় সংকট হিসেবে দেখছে। আর জাতীয় সংকটে দলমত নির্বিশেষে সবার কাজ করা উচিত এবং সরকারেরও উচিত সবার সহযোগিতা নেয়া। কিন্তু সরকার সবকিছু সন্ত্রাসী কায়দায় করছে বলে অনেকের সহয়োগিতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরতে ব্যর্থ হন দাবি করে বলেন, অবস্থা দৃস্টে মনে হয় ট্রাম্পের কাছে অটোগ্রাফ নিতেই কাছে গিয়েছিলেন তিনি।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর শারাফত আলী শফু, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী।
এর আগে শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ ১২শ নির্যাতিত রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (ড্যাব) কর্তৃক পরিচালিত জরুরী মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তার টিমের সদস্যরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।