নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রবারণার দিনে ‘সুসজ্জিত জাহাজে করে মহামতি বুদ্ধ বৈশালী নগর থেকে রাজগৃহে ফিরেছিলেন। ওই সময় পথে মানুষ, দেবতা, নাগ সবাই বুদ্ধকে পূজা করেছিল।’ বৌদ্ধ ধর্মের এই মতানুসারে- সেই ঘটনা স্মরণ করেই শত বছর ধরে কক্সবাজারের কাছের উপজেলা রামুতে হয়ে আসছে ‘জাহাজভাসা উৎসব’।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ‘কল্প জাহাজ’ ভাসানের এই উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে সন্ধ্যাকাশে উড়ানো হয়েছে একের পর এক দৃষ্টিনন্দন উজ্জ্বল ফানুস। রামুর বাঁকখালী নদীর চরে এই উৎসবে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বলছেন, এমন উৎসব ধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়ায়, দৃঢ় করে মানুষে মানুষে সম্পর্ক।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বাদ্যবাজনার তালে তালে কক্সবাজারের রামুর বাকঁখালী নদীতে শত শত তরুণ-তরুণীদের উচ্ছ্বাস আর উল্লাসের মধ্যদিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে রঙ বেরঙের দৃষ্টিনন্দন কাগজের ‘কল্প জাহাজ’। এতে শুধু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নয়, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অংশ নেন।
এ উপলক্ষে জাহাজভাসা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিথুন বড়ুয়া বোতামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মৎসজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল। প্রধান বক্তা ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।
জাহাজভাসা উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক রিগ্যান বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক সুস্ময় বড়ুয়ার পরিচালনায় এই আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী প্রমূখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।