আড়াই বছর পর আজ কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটা কক্সবাজারে তার পঞ্চম সফর।
কক্সবাজারে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ও নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে আজ কক্সবাজারে আসছেন তিনি।
তাকে বরণ করে নিতে সাজানো হয়েছে জেলা শহরের সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা। এ সফরকে ঘিরে সাজ-সাজ রব বিরাজ করছে কক্সবাজারে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে একটি জনসভার আয়োজন করছে জেলা আওয়ামী লীগ। এতে অন্তত দুই লাখ মানুষের সমাগমের লক্ষ্যে কাজ করছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট অবতরণ করবে। সেখানে সম্প্রসারিত রানওয়েতে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান চলাচল উদ্বোধন করবেন তিনি।
এরপর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, কক্সবাজার বিমানবন্দরে বোয়িং বিমান চলাচল এবং পাঁচটি ভবন ও নয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।
পরে বিকেলে সৈকত সংলগ্ন শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দর থেকে সকাল ১০টায় ইনানীর উদ্দেশে যাত্রা করে ১১টায় সেখানে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক লে. কর্নেল কে এম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, এটি বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ (সাগরপারের সড়ক), যেটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী বিকেলে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন। সেখানে তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজের একাডেমিক ভবন ও পরীক্ষা হল, কক্সবাজার সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস এবং মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরও জানান, জনসভামঞ্চের পাশে এক জায়গায় বাঁকখালী নদীর ওপর একটি ব্রিজ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস ভবন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার আইটি পার্ক, এলএনজি টার্মিনাল, এসপিএম (ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং), নাফ ট্যুরিজম পার্ক, উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন ও কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। আয়োজকদের দাবি, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সমাবেশ আরম্ভ হবে। তীব্র গরমের কথা বিবেচনা করে সমাবেশস্থলে সামিয়ানার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানির জন্য নলকূপ বসানো হয়েছে। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে অংশ নিতে অন্তত ১০ হাজার বিভিন্ন যানবাহনে করে জেলা ও আশপাশ থেকে আসবেন অন্তত দুই লাখ মানুষ। সেভাবে সমস্ত আযোজন সম্পন্ন ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সমাবেশে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতারা ও নারীদের জন্য আট হাজার আসন (চেয়ার) বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।