খেলাধূলা ডেস্কঃ প্রথম ম্যাচে ২৮ রানের সহজ জয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ। মিরপুরে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ইমরুল কায়েস দারুণ আত্মবিশ্বাসী। মাশরাফি মুর্তজার নেতৃত্বে আরেকটি সাফল্য পেতে উদগ্রীব দল। দুই বছর পর বন্দরনগরীতে ফিরছে ওয়ানডে ক্রিকেট। চট্টগ্রামবাসী তাই ম্যাচটির জন্য অধীর অপেক্ষায়।
২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর সর্বশেষ ওয়ানডে আয়োজন করা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সাফল্যের হার বেশি। আগের ১৭টি ম্যাচের ১০টিতে টাইগাররা জিতেছে, হেরেছে বাকি ৭টি। এখানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের পাঁচটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আরেকটি পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করতে পারে, এই মাঠে টাইগারদের সর্বোচ্চ ২৮১ রান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।
দুশ্চিন্তা শুধু শিশির নিয়ে। ইদানীং রাতের দিকে শিশির পড়ে চট্টগ্রামে। তাই টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘চট্টগ্রামে কয়েক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর শিশির পড়ছে। যে কারণে পরে বোলিং করা বেশ কঠিন। আমার ধারণা, কাল টস জেতা দল আগে ফিল্ডিং করবে।’
চট্টগ্রামের উইকেট সব সময়ই ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ। অধিনায়ক মাশরাফি তাই বড় স্কোর চান ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে, ‘চট্টগ্রামের উইকেট ঢাকার মতো নয়। এখানে রান করা সহজ। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেললে এখানে বড় স্কোর গড়া সম্ভব।’
টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ওয়ানডের একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মাশরাফি মন্তব্য, ‘একাদশ নিয়ে এখনই কিছু বলা কঠিন। শান্ত-আরিফ-রনি আগের ম্যাচে সুযোগ পায়নি। সিরিজ ডিসাইডিং ম্যাচে তাদের নিয়ে আসাও কঠিন। দল নির্বাচনে কোচ আর নির্বাচকদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
বাংলাদেশের তুলনায় জিম্বাবুয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না অধিনায়ক, ‘জিম্বাবুয়েকে আমরা ছোট করে দেখছি না। ওদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা ফিরে এসেছে। আমরা এশিয়া কাপে খেলার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামবো। হোমে আমরা হংকংয়ের কাছেও হেরেছি। তাই প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগ দিতে চাই না।’
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের কোচ লালচাঁদ রাজপুতের কথা, ‘আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চাই। জানি, কাজটা সহজ হবে না, তবু আমরা আশাবাদী। জেতার জন্য ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। আমার বিশ্বাস, সিরিজে সমতা নিয়ে আসবে জিম্বাবুয়ে।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।