৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  গলায় ওড়না পেঁচিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী’র আত্নহত্যা   ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার

আটকে পড়া থেকে বলতেছি

মোঃআবছার কবির আকাশ : কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলাম। প্রেশারও ছিল অনেক বেশী। ডাঃ পরামর্শ দিলেন কোথাও গিয়ে যেন ঘুরে আসি। মনটাকে উৎফুল্ল করি। যে পরামর্শের সেই কাজ।
সিদ্ধান্ত নিলাম সেন্টমার্টিন যাবো। সোমবার সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলাম। টিকিট নিতে ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে জেটিঘাট সংলগ্ন টিকিট কাউন্টারে পৌঁছলাম। দেখি টিকেট সংকট। প্রচুর পর্যটক। সবাই টিকিটের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে একটু আবদার খাটাতে চাইলাম। পর্যটকদের চাপে তাতে ব্যর্থ হলাম। তবু নাছোড় বান্দা আমি। সেন্টমার্টিন যাবোই, যাবো। কোনরকম লবিং-রিকুয়েস্ট করে পেয়ে গেলাম টিকেট।
উঠে পরলাম কেয়ারী সিন্দাবাদ নামে জাহাজে। উঠে দেখলাম বসার কোন সীট নাই। পরে তারা বসার জন্য ক্যপ্টেনের রুমে নিয়ে গিয়ে বসালো৷ যাত্রাটা খুবই ভাল লাগলো। ক্যাপ্টেনের পাশে বসতে পেরে মনে হচ্ছে পুরো জাহাজটায় আমিই চালাচ্ছি। ১২ টার দিকে পৌঁছে গেলাম সেন্টমার্টিন দ্বীপে। দুপুরের খাবার শেষ করে হোটেল রুমে একটু ঘুমাইলাম। ঘুম থেকে উঠে বের হলাম একটু ঘুরতে। ঘুরতে খুব ভাল লগতেছে হালকা বাতাসে। চিন্তা করলাম সেন্টমার্টিন আসলাম সাইকেল দিয়ে না ঘুরলে কি হয়? তাই ভাড়া করে সাইকেল নিলাম একটা তা নিয়ে পুরো সেন্টমার্টিনটাকে হাতের তালোয় নিলাম। ঘুরে ফিরে আসলাম রুমে। ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বের হলাম। চিন্তা করলাম সেন্টমার্টিন দ্বীপে মাছের রাজ্যে এসে কি মাছের বার-বি-কিউ না খেয়ে যেতে পারি? তাই অর্ডার করা হল একটা কাল চাঁদা মাছের বার-বি-কিউ। সাড়ে ১০ টার দিকে খেয়ে আবার নামলাম একটু বীচের দিকে। ভালই লাগতেছে। বীচের গর্জন রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বীচে বসে ফিরলাম রুমে। সকালে উঠে নাস্তা করে বের হলাম ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার জন্য। জেটি ঘাঁটে গিয়ে একটা বোট ভাড়া করে চলে গেলাম ছেঁড়া দ্বীপে। গিয়ে দেখলাম এমন একটা নির্জন দ্বীপ যেখানে কোন ঘর-বাড়ি নাই। আছে শুধু প্রবাল। সেখানেই নেমেএলো কাল বৈশাখী ঝড় সবাই কোন রকম রক্ষা পেয়ে ফিরলাম। সেন্টমার্টিন এসেই দেখি কোন জাহাজ আসে নাই। পড়ে গেলাম মহাচিন্তায়। অনেক চেষ্টা করলাম কোন বিকল্প ব্যবস্থায় যাওয়া যায় কিনা? কিন্তু তাতেও হয়ে গেলাম ব্যর্থ। মনে হচ্ছে নিজ দেশ ছেড়ে আরেক দেশে এসে বন্ধী হয়ে গেছি। সব আনন্দ মাটি হয়ে গেল! সেন্টমার্টিনের প্রায় দোকান ও রেস্টুরেন্ট দেখি বন্ধ। মনের ভেতর ভয় ঢুকে গেল। আগের দিন দেখলাম যেই উৎফুল্ল ও কত সুন্দর একটা দ্বীপ! সেই দ্বীপ কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হয়ে গেল পরিত্যক্ত এক এলাকার মত।
প্রশাসনের কোন লোকের খোঁজ খবর নিতেও দেখলাম না ২ দিনে পুলিশেরও কোন টহল দেখলাম না। মনে হচ্ছে বন্ধি অবস্থায় আছি৷ খুব অসহ্য লাগতেছে৷ আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের নাই কোন বিকল্প ব্যবস্থা? অনেক পর্যটকদের দেখলাম টাকার অভাবে মুড়ি-পাউরুটি খেতে৷ এইখান থেকে নিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প যদি না থাকে অন্তত উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে রিকুয়েষ্ট করব যেন অসহায় বন্ধি পর্যটকদের খবরাখবর নিতে। তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে। আমি একজন ভুক্তভোগী হিসবে আমিই জানি আমরা কত ভয়ংকর ও ভয়ের মধ্যে আছি।

মোঃ আবছার কবির আকাশ
সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী

০১৮৫১৪৫৫৫০৫

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।