তিন মাস পর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে দুর্নীতির দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার রোববার জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার এই জামিন মঞ্জুর করেন।
টানা কয়েকটি ধার্য তারিখে হাজির না হওয়ায় এই আদালতই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
বাকি দুই আসামি মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকেও বিচারক জামিন দিয়েছেন।
জামিন আবেদনে খালেদার আইনজীবীরা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’, এ কারণে তিনি আদালতে হাজির হয়েছেন।
জামিন আদেশের আগে বিচারক বলেন, “আমিও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি তো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিতাম না। কিন্তু বাধ্য হয়েছি। কারণ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না দিলে এই মামলার বিচার যে এগোনো সম্ভব নয়; রাষ্ট্রপক্ষের এমন দাবির সঙ্গে আমিও একমত।”
সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির এই দুই মামলার বিচার কাজ চলছে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশেষ এজলাসে। খালেদা আসার আগে সকাল থেকেই আদালত ভবনের আশেপাশের এলাকা এবং সামনের মাঠে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। আশপাশের সড়কেও দেখা যায় পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।