কক্সবাজারের স্বনামধন্য ঠিকাদার আবছার কবির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সমমনা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতি নেতৃবৃন্দ এই নিন্দা জানান। একই সাথে তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দাবি জানিয়েছেন। এই উপলক্ষ্যে সমিতির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে- পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজসে কানাড়া প্রবাসীর জায়গা দখলে নিতে ঠিকাদার আবছার কবির ও তার সদস্যদের বিরুদ্ধে সাজানো চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কালামের যোগসাজস রয়েছে। একই এলাকার মৃত জবর মুল্লুকের পুত্র আজিজুল হক, নজির আহমদ ও মাহমুদুল হক, সন্ত্রাসী লাঠিয়ালবাহিনী গঠন করে বেশ কয়েক মাস ধরে প্রবাসী দিদারুল আলমের ভোগ দখলীয় জায়গা জবরদখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। জমির রক্ষা করতে যাওয়ায় সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমাদের বুঝতে বোধগম্য হচ্ছে না কিভাবে মামলায় আবছার কবির ছাড়াও তার বৃদ্ধ পিতা, ছোট ভাই, ফুফাতে ভাই, খালতো ভাই ও ভাতিজাসহ ১২ জনকে আসামী বানানো হয়। প্রশ্ন হলো পুরো পরিবার কিভাবে চাঁদাবাজি করতে পারে? শুধুমাত্র আমার ভগ্নিপতি প্রবাসী দিদারুল আলমের ভোগ দখলীয় জমি আতœসাৎ করার হীন প্রচেষ্ঠা ব্যর্থ হয়ে নতুন কৌশল হিসেবে আজিজুল হক বাদী হয়ে চাঁদাবাজি মামলাটি করেন।
আমরা সাজানো, ষড়যন্ত্রমূলক ও এই মিথ্যা বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে মামলাটি প্রত্যাহাররের দাবি জানাচ্ছি। দায়েরকারী কুচক্রী, ষড়যন্ত্রবাজদের শাস্তি দাবি করছি। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমরা সমমনা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো। একই সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাইবো। এটাই আমরা হুঁশিয়ার করলাম।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সমমনা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক আসাদ উল্লাহ সিআইপি, এম. মোক্তার আহামদ, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ছুরত আলম, মো. ইউনুছ, একরামুল হক, শরিফ উদ্দীন মামুন, আবদুর রশিদ, শওকত আলী, নুরুচ্ছফা রুবেন, আনছারুল করিম, রুহুল আমিন, আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ আহামদ উজ্জল, আবু ছালেক, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ভুট্টু, মো. শাহেদ বক্স, মো. জোবাইর, কামাল উদ্দীনসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।