বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে ফিরে এসে বলেছেন- পানি ম্যাংগা, ইলেকট্রিসিটি মিল্যা— কুছ তো মিল্যা। অর্থ্যাৎ আমাদের অবস্থা হয়েছে কুছ তো মিল্যা। যা পেয়েছি এতেই খুশি। এই যে নতজানু মনোভাব। এ মনোভাব দিয়ে কখনও দাবি আদায় করা যাবে না। আদায় করা যায় না। এবং এই সরকার ব্যর্থ হচ্ছে কারণ এরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, দখল করে আছে। তাই যারা তাদেরকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে তাদের কাছে আমাদের কোনো বিষয়ে ন্যায্য দাবি সেভাবে পেশ করতে পারছেন না। আদায়ও করতে পারছেন না।
বুধবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সাক্ষার করে এসেছেন। কিন্তু আমাদের হাজারো লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি সেই তিস্তা পানির প্রধানমন্ত্রী চুক্তি করতে পারেনি। শুধু তিস্তা চুক্তিই নয়, অভিন্ন ৫৮টি নদীর ন্যায্যা হিস্যার কোনো চুক্তি করতে পারেননি। অথচ গত কয়েক বছর ধরে তারা যে বিষয়গুলো ছিল বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পকার্ড, যা ছিল বাংলাদেশের জন্য দরকষাকষি বিষয় গুলো সেগুলো প্রধানমন্ত্রী অবলীলায় ভারতের কাছে তুলে দিয়ে এসেছেন। ট্রানজিট দিয়েছেন, ব্যবসা বাণিজ্যর সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন অথচ আমরা এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি, পেয়েছি শুধু আশ্বাস।
তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর ন্যায্য হিস্যার দাবি আদায়ে বাংলাদেশ সরকারকে জাতিসংঘে যাওয়ার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়ে ফখরুল বলেন,
আমাদের একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে যে, আমাদের প্রয়োজন আমাদের মিটাতে হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা পানি আনতে ব্যর্থ হয়েছেন, দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই অবিলম্বে তিস্তা নদীর পানি এবং ৫৪ টি অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবি জাতিসংঘে তুলে ধরুণ এবং সমস্যা সমাধানে তাদেরকে সম্পৃক্ত করুণ। কারণ আমরা কোনো দয়া চাই না, এটা আমাদের ন্যায্য অধিকার।
আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্ণেল (অব) জয়নুল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।