শহরের সিটি কলেজ এর সামনে বায়জিত কর্পোরেশন নামে এক রড সিমেন্টের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল দোকানের চালের টিন কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ক্যাশ টেবিলের ডয়ার ভেঙ্গে নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি এলইডি টেলিভিশন ও চেক সহ মূল্যবান জিনিসিপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় দোকানের পেছনের দরজা সহ ভিবিন্ন স্থানে ভাংচুর ও করা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত দারোয়ান সহ ৩ জনকে আটক করেছে।
জানা যায়, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কস্থ সিটি কলেজ এর সামনে বায়জিত কর্পোরেশন নামে একটি রড সিমেন্ট এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছিলো শহরের আলীর জাঁহাল এলাকার শহীদুল্লাহ কায়সার শহীদ। প্রতি দিনের ন্যায় ২৯ এপ্রিল ব্যবসার কার্যক্রম শেষে দোকানের ক্যাশ ডয়ারে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা রেখে বাসায় চলে যায়। পরদিন সকালে দোকান খোলতে গিয়ে দেখে দোকানের সব মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। আর দোকানের চালের টিন কেটে ভেতরে চোর ডুকার আলামত বুঝতে পারে এবং ক্যাশ ডয়ারে রাখা নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ও টেবিলের উপর রাখা এলইডি টিভি ও কাস্টমারের রক্ষিত চেক সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নেই। পরে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ কাজী মতিউল ইসলাম ও ওসি তদন্ত বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী সহ এস.আই কামরুজ্জামান তৎক্ষানিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং চুরির ঘটনার আলাতম জব্দ করে। এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নানা স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে সাড়াশি অভিযান চালায়। অভিযানে দারোয়ান সহ চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করে। এরা হলেন শহরের সাহিত্যিকা পল্লী এলাকার আবু তাহের এর পুত্র মিজানুর রহমান(১৮) একই এলাকার ওবাইদুল্লার পুত্র তালহাৎ মাহামুদ বাবলু(২০) ও মনছুর আলমের পুত্র ওই এলাকার দারোয়ান ইলিয়াছ(৩৭)। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত রাসেল, সোনামিয়া ও ইউচুপ নামে আরো ৩ চোরের নাম উল্লেখ করে।
এদিকে এ ঘটনার ব্যাপারে ওসি তদন্ত বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনার মূল রহস্য উৎঘাটন করা গেছে। তবে এ চুরির সাথে জড়িত বাকীদের ধরা গেলে মালামাল উদ্ধার করা যাবে এবং তাদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চুরির ঘটনার ব্যাপারে দোকান মালিক শহীদুল্লাহ কায়সার শহীদ জানান, শহরের বিভিন্ন স্থানে রড সিমেন্ট বাবদ বাকী দেয়া অর্থ সংগ্রহ করতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় লেগে যায়। যে কারনে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার সুযোগ হয়নি এবং প্রতি দিনের মতো দোকানে টাকা রেখে যায়। আর বিষয়টি চোরের দল কোন ভাবে বুঝতে পেরে রাতে এ ঘটনা ঘটায়। এদিকে এ ঘটনায় দোকান মালিক শহীদুল্লাহ কায়সার শহীদ বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।