রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনায় আত্মসমর্পণকারী দুই নারী জঙ্গির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মেহের নিগার সূচনা সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার দুপুর ৩টার দিকে প্রশিক্ষিত ওই দুই নারী জঙ্গিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। এর বিপরীতে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আসামি দুই নারী জঙ্গি হলো— মেজর জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার ওরফে শীলা ওরফে সুমাইয়া ওরফে মারজুন (৩৪) ও মাইনুল ইসলাম ওরফে আবু মুসার স্ত্রী তৃষামনি ওরফে উম্মে আয়শা (২২)।
আদালতে উপস্থিত হওয়ার সময় জেবুন্নাহার ওরফে শীলার শিশুকন্যা এক বছর চার মাস বয়েসী মারিয়াম বিনতে জাহিদ ও তৃষামনির কন্যা জুরাইরিয়া (৪ মাস) তাদের সঙ্গে ছিল।
আসামিপক্ষে কোনও আইনজীবী ছিল না। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর দুই আসামি পুলিশি হেফাজতে আদালত ত্যাগ করে।
এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশের এসআই শাহিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পলাতক জঙ্গি মাইনুল ইসলাম মুসা, আত্মসমর্পণকারী দুই নারীসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর দক্ষিণ খানের পূর্ব আশকোনায় পুলিশ অপারেশন ‘রিপল ২৪’ পরিচালনা করে। এ সময় জঙ্গি সুমনের স্ত্রী নারী জঙ্গি সারিকা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে পুলিশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে পরনের সুইসাইডাল ভেস্টটির বিস্ফোরণ ঘটায়। অভিযান চলাকালে গুলিতে নিহত হয় আফিফ কাদেরী নামে আরেক কিশোর। আফিফ কাদেরী আজিমপুরে নিহত তানভীর কাদেরীর ছেলে। শীলা ও তৃষামনি পুলিশের কাছে সসন্তান আত্মসমর্পণ করে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।