২৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৩০ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

আশ্রয়ণ প্রকল্প খুরুশকুলের চেহারা বদলে দেবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে খুরুশকুলের চেহারা বদলে যাবে। এখানে স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, গির্জা ও প্যাগোডা গড়ে উঠবে।

বৃহ্স্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত কক্সবাজারে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধনকালে সময় তিনি এ কথা বলেন। উদ্বোধন শেষে জলবায়ু উদ্বাস্তু ৬০০ পরিবারের কাছে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের একটি মানুষও ঘরছাড়া থাকবে না, মুজিব বর্ষে এটা হলো আমাদের প্রতিশ্রুতি। আজ ৬০০ উদ্বাস্তু পরিবারকে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করা হলো। বাকি যারা আছেন তারাও পর্যায়ক্রমে ফ্ল্যাট পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ঘরবাড়িগুলো করে দিলাম সেগুলো যত্ন করে রাখবেন। এ ফ্ল্যাটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। পরিবেশ বজায় রাখবেন। পর্যাপ্ত গাছ লাগাবেন। এখানে পুকুর কাটা হয়েছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ ফাঁড়ি করা হয়েছে। এছাড়া এখানে যারা বসবাস করবেন তারা অধিকাংশই মৎস্যজীবী। তারা যেন মাছ ধরে শুটকি করতে পারে এবং এখানে যেন শুটকির বিশাল একটি বাজার গড়ে ওঠে সে ব্যবস্থা আমরা করব। এখানে এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য করা হবে যেন পর্যটকরা ওই এলাকায় আসে এবং শুটকি কিনতে পারে।

চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বর্তমানে বন্যা চলছে। যে বন্যা শুরু হয়েছে তা আগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বন্যা মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের আছে।

উল্লেখ্য, দেশে এটিই প্রথম সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক বাজেটের আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রায় ২৫৩ দশমিক ৩৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পে ১৩৯টি ৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে শেখ হাসিনা টাওয়ার নামে একটি ১০ তলা বিশিষ্ট সুউচ্চ ভবনও থাকবে।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২০১৭ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের বাকি ভবনগুলোর কাজও এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পে বসবাসকারী পরিবারগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল, মসজিদ, স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতাল ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকবে। বিনোদনের ব্যবস্থাও রাখা হবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় আশ্রয় পাওয়া মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।