২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

আসুন টম এন্ড জেরি টাইপ কার্যক্রম না করে একে অপরকে সহায়তা করি!

এসডি রায়হান: করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করার পর থেকে সারা বাংলাদেশ লকডাউন। যান চলাচল বন্ধ। সবাইকে ঘরে থাকার আহবান সরকারের। লকডাউন রয়েছে উখিয়া উপজেলাও। লকডাউন অমান্য করে বিভিন্ন এলাকায় অটো, সিএনজি চলছে। প্রশাসন পুলিশ, সেনাবাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে এসব বাহণ চলছে দাবি স্থানীয়দের পাশাপাশি উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের এএসপি নিহাদ আদনান তাইয়ানেরও। এএসপি নিহাদ আদনান তাইয়ান প্রথম থেকেই মাঠে রয়েছে স্থানীয়দের সচেতনতায়। তিনি আজ উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট ও রোহিঙ্গা শিবিরের প্রধান সড়ক গুলোতে নিজে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি বোঝতে চেষ্টা করেছেন। এসব বাহণ চলাচল বন্ধে স্থানীয়দের বেশি সচেতন হতে বলে মনে করছেন তিনি। এএসপির দাবি স্থানীয়দের কারণে রোহিঙ্গারাও ফায়দা নিচ্ছে৷ তবে, এলাকার অধিকাংশ জনগণই আইন মেনে চলছে এবং আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে, তাই এলাকাবাসীকে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে ধন্যবাদও জানান তিনি। এ নিয়ে এসপি তাইয়ান নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে একটি পোস্টও শেয়ার করেছেন। কক্সবাজার টুডে’র পাঠকদের জন্য পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে দেওয়া হল-

দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ সুপার, কক্সবাজার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ২৪*৭ কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ, বিশেষত উখিয়া থানা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক পুলিশ সদস্যরা। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, ক্যাম্প সংলগ্ন কিছু এলাকা যেমন- কুতুপালং, বালুখালী ও থাইংখালী এলাকায় বেশ কিছু অটো এবং সিএনজি চলাচল করছে, পুলিশের গাড়ি বা টহল দেখলে অথবা চেকপোস্ট এর কাছাকাছি এলেই এরা যাত্রী নামিয়ে অন্যদিকে পালিয়ে যাচ্ছে বা কিছু যাত্রী এসে এমন সব অজুহাত দেখাচ্ছে যা তাৎক্ষণিকভাবে সত্য বা মিথ্যা কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না এবং এরা অধিকাংশই স্থানীয়, অর্থাৎ, বাংলাদেশি। এদের এই কাজগুলোর ফায়দা নিচ্ছে আবার ক্যাম্পস্থ রোহিঙ্গারা। পুলিশের একার পক্ষে এটা সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব না যদি না সম্মানিত এলাকাবাসীর সহায়তা পাওয়া না যায়! একইভাবে, কোর্টবাজার এবং মরিচ্যা এলাকাতেও এই অবস্থা দৃশ্যমান হচ্ছে, কাজেই দেশ তথা সমগ্র বিশ্বের এই সংকটকালীন অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে, সম্মানিত উখিয়াবাসীর জন্য এই সচেতনতা আরো বেশি মাত্রা পেয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য। কাজেই আসুন, লুকোচুরি বা টম এন্ড জেরি টাইপ কার্যক্রম না করে একে অপরকে সহায়তা করি!
তবে, এলাকার অধিকাংশ জনগণই আইন মেনে চলছে এবং আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে, তাই এলাকাবাসীকে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে ধন্যবাদ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।