এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বেগম জিয়া তিনমাস পর বিদেশ থেকে এসে রোহিঙ্গাদের প্রতি এতো মায়া দরদ দেখাচ্ছে কেন ? মায়া থাকলে আগে আসেননি কেন ? আড়াই মাস পর রোহিঙ্গাদের দেখতে আসা মানে অপরাজনীতি ছাড়া কিছু নয়। আবারও গাড়ি পোড়ার রাজনীতি শুরু করেছেন। যাওয়ার সময় ভাঙ্গছেন। ফেরার সময় গাড়ি পুড়িয়েছেন। এটা হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্নভাবে আশ্রয় দিয়ে সারাবিশ্বে এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসিত হয়েছে। তিনি আগামী নির্বাচনে নারী ও তরুণরাই আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করে নিয়ে আসতে প্রধান হাতিয়ার হিসাবে কাজ করবে। বেগম জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণের নামে এখানে এসে তামাশা করেছেন। কক্সবাজারে যাওয়ার সময় সড়কের পথে পথে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, চকরিয়ার প্রবেশদ্বার হারবাংয়ের ইনানী প্রাঙ্গনে আপনারা যেভাবে জমায়েত হয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করেছেন তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এতো বিশাল সমাবেশ অনুষ্টিত হওয়ার পরও রাস্তায় জন সাধারণের চলাচলে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। কোন আয়োজন না থাকা সত্ত্বেও হারবাংয়ের এই সমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে। এভাবে আপনারা শেখ হাসিনার প্রতি, আওয়ামীলীগের প্রতি, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছেন তা আগামী নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করে আনা পর্যন্ত অব্যাহত রেখে কাজ করতে হবে। তিনি গতকাল ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রবেশদ্বার হারবাংয়ের হাইওয়ে রিসোর্ট ইনানী মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়ার সভাপতিত্বে, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মিজনুর রহমান ও চকরিয়া আওয়ামীলীগের নেতা জামাল উদ্দিন জয়নালের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত বিশাল জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সহপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুুল হায়দার রুটন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড়ভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, মহেশখালী কুতুব দিয়ার এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অ্যাড়ভোকেট আমজাদ হোসেন, সহসভাপতি রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন, কক্সবাজার জেলা শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক খালেদ মাহমুদ মিতুন, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমরুদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড. আশরাফুল ইসলাম সজিব, চকরিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শফিউল কাদের শফি, এসএম গিয়াস উদ্দিন, জিএম কাশেম, উম্মে কুলসুম মিনু, মিজানুর রহমান, কুতুবদিয়ার সভাপতি আওরঙ্গজেব, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শফিউল আলম, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ চেয়ারম্যান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের জামাল উদ্দিন জয়নাল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিমুল হক চেয়ারম্যান, চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, হারবাংয়ের দারুচ্ছালাম রফিক, বদরখালীর জসিম উদ্দিন টিটু, কৈয়ারবিলের জাফর আলম সিকদার, মাতামুহুরীর সুলতান মাহমুদ টিপু, কৃষকলীগের শুলাল কান্তি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিটু, মাতামুহুরী ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন চৌধুরী, সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, পৌর ছাত্রলীগের মিজান ও রানা পারভেজ, বরইতলীর ছাত্রনেতা আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
হারবাং ইনানী রিসোর্টে জনসভার মঞ্চে উঠার আগে চকরিয়া পেকুয়ার এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিকে স্বাগত জানাতে এদিন বিকাল থেকে চকরিয়া হারবাংয়ের আজিজ নগর থেকে উপজেলার খুটাখালী পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে প্রিয় নেতৃবৃন্দ অভিবাদন জানান। পুরো চকরিয়া এদিন লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।