বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে পাকিস্তানের আলিম দার ও ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড; ঘোষণাটা যেদিন দেওয়া হয়েছিল সেদিনই বুক কেঁপেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটানুরাগীদের। দুশ্চিন্তা বেশী ভর করেছিল ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গোল্ডকে নিয়ে। কেননা বাংলাদেশের কাছে হেরেই ইংল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ মিশন মূলত শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাই প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাবেন না ইংলিশ গোল্ড, এমন নিশ্চয়তা কোথায়?
শেষ অবধি ইয়ান গোল্ড সেটাই করে দেখালেন! ভারতের ব্যাটিং ইনিংস চলাকালে ৪০তম ওভারটি করছিলেন বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেন। ওভারের চতুর্থ বলে রুবেলের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন ভারতের রোহিত শর্মা। সেই ক্যাচটি ধরেও ছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। কিন্তু আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড বলটিকে ‘নো বল’ কল করে রোহিতকে বাঁচিয়ে দিলেন। যুক্তি হিসেবে বললেন, এটি একই ওভারে রুবেলের ছোড়া দ্বিতীয় কাঁধ সমান উঁচু বল। তাই নিয়মানুযায়ী এটি ‘নো বল’। কিন্তু টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গেল এটি মোটেও কাঁধ সমান উচ্চতার বল ছিল না। রোহিত পম্পিং ক্রিজের অনেক সামনে বলকে হিট করেছিলেন। ফলে ক্রিজে পৌঁছানোর সময় বলটি কোমর সমান উচ্চতার কাছাকাছিতে থাকার কথা। অথচ গোল্ড সেটিকে ‘নো বল’ কল করে ভারতের ফেভারে ঠেলে দিলেন ম্যাচটিকে, যা ক্ষিপ্ত করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটানুরাগীদের। ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেও এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার ও বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশালিস্ট অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের মতে, ‘আম্পায়ার ভুল করেছেন। বলটি কোমর সমান উচ্চতায় যাচ্ছিল। এটা পুরোপুরি একটা বাজে কল।’ অন্যদিকে বিবিসির আরেক টেস্ট ম্যাচ স্পেশালিস্ট জোনাথন অ্যাগনিউ বলেছেন, ‘শেষ অবধি হয়তো এটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যাবে। আমার মনে হয়, রোহিম শর্মা জেনুইনলি আউট হয়েছেন। এটা (আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত) ম্যাচের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়াবে এবং এটা নিয়ে লম্বা সময় বিতর্ক চলবে।’
এদিকে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষণও টুইট করেছেন, ‘গোল্ডের সিদ্ধান্তটা একেবারেই বাজে ছিল।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।