চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্টান চরম্বা মাইজবিলা অলি আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে লাগানো ইটভাটার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ চরম বিপাকে পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে যায়,বিদ্যালয়ের সাথে লাগানো একটি ইটভাটা রয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা হল ৪শ জন।বিদ্যালয়টি ১৯৯৭সালে প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন সফলতার সাথে অর্জন করে আসছিল।কিন্তু সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সাথে লাগানো ইটভাটার কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীরা দিন দিন চরম ভোগান্তির শিকার হতে যাচ্ছে। ফলে, শিক্ষার্থীরা ভোগছে কাঠ দিয়ে ইট পেড়ানোর ধোয়া ও ধুলাবালি। এছাড়াও তারা সুন্দর লেখাপড়া করার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিদারুল আলম উক্ত প্রতিবেদককে বলেন,ক্লাস রুমে ক্লাস নেওয়ার সময় ইটভাটার ধোয়াবালির কারণে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। সুন্দর পরিবেশ ক্লাস নেওয়া বড়ই মসকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থী জাহেদ ও সাহেদুল ইসলাম জানান,ইটভাটার কারণে আমরা সুন্দর পাঠদান হতে বঞ্চিত হচ্ছি।মুখের মধ্য হঠাৎ করে দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে বলেও জানান।শিক্ষার্থীর এক অভিভাবিকা জানিয়েছেন,তাদের সন্তানেরা বাড়িতে এসে ক্লান্ত হয়ে বলে,স্কুলের সাথে ইটভাটার কারণে মনোযোগ দিয়ে তাদের সন্তানেরা ক্লাস করতে পারছেন না। বাড়িতে এসে সন্তানেরা একটু অসুস্হ হয়ে পড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ উক্ত প্রতিবেদককে জানান,ইটভাটার ধোয়া ও ধুলাবালির কারণে শিক্ষার্থীদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আবদুল মন্নান জানান,সাংবাদিক সাহেব, বড় ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হয়, বিদ্যালয়টি ১৯৯৭সালে প্রতিষ্টিত। বিভিন্ন এলাকা হতে সন্তানেরা এই বিদ্যালয়ের পড়ালেখা করতে আসত।কিন্তু, পুর্বে পড়ালেখার মান ও পরিবেশ ভাল থাকলেও বর্তমানে বিদ্যালয়ের সাথে লাগানো ইটভাটার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে রীতিমত পাঠদান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অতি কষ্টে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান ও বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।স্হানীয় ইউপি সদস্য জানে আলম জানান,ইটভাটাটির কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশের পাশাপাশি এলাকার সাধারণ জনগণ চলাচল করতে রীতিমত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চরম্বা ইউপির চেয়ারম্যান মাষ্টার শফিকুর রহমান বলেন,ইটভাটার কারণে শিক্ষার্থীদের পরিবেশ বিঘ্নিত ঘটছে। লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফিজনুর রহমান মুঠোফোনে উক্ত প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ের সাথে লাগানো ইটভাটার কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ খুব বেশী নাজুক। ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ বাহাদুর কোম্পানী বলেন,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নে আর্থিকভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছি। তবে, বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রকাশ নজির মেম্বার সহযোগিতার কথা অস্বীকার করেন। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্হরের জনসাধারণ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।