ইমার্জিং কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দল ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। দিনের অন্য সেমিতে পাকিস্তান ১২৩ রানের বড় ব্যবধানে হারায় আফগানিস্তানকে।
টস জিতে ব্যাটিং-এ নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। বিনা উইকেটে ২০ রান তুলে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে সব ওলট-পালট করে দেন লঙ্কান বোলার আসিথা ফার্নান্দো। ওই ওভারের প্রথম তিন বলেই টানা তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।
ওভারের প্রথম বলে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হন ওপেনার আফিফ হোসেন ধ্রুব। এরপর বাংলাদেশ শিবিরে সবচেয়ে বড় আঘাতটি হানেন ফার্নান্দো। অধিনায়ক মুমিনুল হককে ফেরান তিনি। কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল। হ্যাটট্রিকের শেষ উইকেটটি ছিল জাদুকরী এক বলে। দারুণ এক ইয়র্কারে অফস্টাম্প উড়ে যায় নাজমুল হাসান শান্তর। আর তাতেই হ্যাটট্রিকের উল্লাসে মেতে ওঠেন ১৯ বছরের এই তরুণ।
এরপর দলের দায়িত্ব নিতে পারেনি পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। একে একে বিদায় নেন মো. মিঠুন, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী ও নাসির হোসেনও। তবে অষ্টম উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাইফউদ্দিন ও আবুল হাসান রাজু। শেষ পর্যন্ত ১৭৯ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া নাসির ৩৮ ও সাইফ হাসান ৩২ রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ফার্নান্দো ৪টি উইকেট নেন।
এরপর বাংলাদেশের দেওয়া ১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দলও। ১৫ রানেই শ্রীলঙ্কার ২ উইকেট তুলে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশের যুবারা। তবে এরপর শুরু হয় সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাংকার প্রতিরোধ। এ দুই ব্যাটসম্যানের হার না মানা ১৬৫ রানের জুটিতে জয় পায় লঙ্কানরা।
দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দুজনেই পৌঁছে ছিলেন সেঞ্চুরির কাছাকাছি। বাংলাদেশের সংগ্রহ আরেকটু বেশি হলে সেঞ্চুরি পেতে পারতেন এই দুই ব্যাটসম্যান। হয়তো আক্ষেপে পুড়েছেন তারা। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছেন তারা।
১০০ বলে ১০টি চারে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন সামারাবিক্রমা। ১২১ বলে নয়টি চার ও একটি ছক্কায় ৮৩ রান করে অপরাজিত থাকেন আসালঙ্কা।
চট্টগ্রমের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের অপর সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাটিং-এ পাঠায় আফগানিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১০৫ রানের কল্যাণে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। রিজওয়ান ৯৯ বল মোকাবেলা করে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
জবাবে বিলাল আসিফের বোলিং তোপে ৩১ দশমিক ৪ ওভারে ১৪৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। আগামী ৩ এপ্রিল ফাইনালে পাকিস্তান মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার। ফাইনাল ম্যাচটি হবে দিবা-রাত্রির।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।