কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদে পাসপোর্ট দেওয়ার নামে দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত, মারধর ও হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আর্জেন্ট পাসপোর্ট দেওয়ার নামে গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ইসলামাবাদ ইউছুপেরখীল গ্রামের মাষ্টার আমান উল্লাহর ২ পুত্র হুমায়ুন কবির শহিদু ও সোয়াইব নামের ২ ব্যক্তি দীর্ঘদিন পাসপোর্ট করে দেওয়ার নামে গ্রাহককে হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন অযুহাতে স্থানীয়দের প্রলুদ্ধ করে আর্জেন্ট পাসপোর্ট দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন এ কর্মকান্ড চালিয়ে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৯ মার্চ আর্জেন্ট পাসপোর্টের প্রয়োজন হলে ইউছুপেরখীল গ্রামের আবদুল আজিজের পুত্র মামুনুর রশিদ, সাবেক মেম্বার ফরিদুল আলমের পুত্র তাফছির, মোহাম্মদ আলমের পুত্র মামুনুর রশিদ, হারুনুর রশিদ প্রকাশ- কালুর পুত্র আমজাদ হোছন, নুরুল আলমের পুত্র বোরহান, সোলতান আহমদের পুত্র আমান উল্লাহ’র কাছ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ডেলিভারী দেওয়ার নামে নগদ ১১ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। সঠিক সময়ে ১৪ দিন পার হলে যথানিয়মে হুমায়ুন কবির শহিদুর কাছে পাসপোর্টের জন্য ধরণা দিলে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে সটকে পড়ে। পরের দিন তার ছোট ভাই সোয়াইব পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা চাইলে উল্লেখিত গ্রাহকরা টাকা নিয়ে হাজির হয়ে সময় বেঁধে দেয় ৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে হবে। সে অনুযায়ী শহিদু ৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার ওয়াদা করে। তারপরও পাসপোর্ট না দেওয়ায় গ্রাহকরা একত্রিত হয়ে তার বাড়ীতে গিয়ে পাসপোর্ট চাইলে হারুনুর রশিদের পুত্র আমজাদকে উপর্যুপরী মারধর করে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামস্থ একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় এমইউপি মারধরের সত্যতা শিকার করেন। গ্রাহক মামুনুর রশিদ, বোরহান, আমান উল্লাহ জানায়, ৯দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার আশ্বাস দিলে আমরা তাকে টাকা দিই। সময় পেরিয়ে গেলেও পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় যোগাযোগ করলে উল্টো হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমজাদ হোছেন জানান, যথা সময়ে পাসপোর্ট চাইলে আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মারলে গুরুতর আহত হই। সংঘটিত ঘটনায় আমি আইনী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবির শহিদুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের বিষয়টি সত্য বলে দাবী করেন। তবে পাসপোর্টের ব্যাপারে নয়, পারিবারিক বিষয়ে মারধর করা হয়েছে। হয়রানির ব্যাপারে জানতে চাইলে একটু সময় লাগবে, তাই পাসপোর্ট দিতে দেরী হচ্ছে বলে জানান। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল হকের কাছে জানতে চাইলে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, হয়রানি ও মারধরের বিষয় নিয়ে যে কেউ অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।