দখল দারিত্বের কবলে পড়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর ছড়া খাল। স্বেচ্চাচারিভাবে নদীতীরে দোকান পাঠ,কৃষি খামার এমনকি ঘর বাড়ী ও নির্মাণ করা হয়েছে নদীর মধ্যে। পানির প্রবাহ হারিয়ে এ সমস্ত ছড়া খাল মুমুর্ষ দশায় এবং দখলদারিত্ব নদীর অস্থিত্বকে আরেক দফা হারিয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, ঈদগাঁও নদীর ২শ কিলোমিটারের ও বেশি চর পানি শূন্য এলাকায় এখন দিব্যি বাড়ী ঘর তৈরি করে বসতী শুরু করা হয়েছে। তৎমধ্যে রয়েছে ঈদগাঁও বাজারের বাঁশঘাটা, বাঁশবাজার, মুসলিম বাজারের দু’পাশের এলাকা একই ভাবে ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা, বাসষ্টেশনস্থ ব্রীজের আশপাশ এলাকা, পালপাড়া, রাবারড্যাম, লরাবাক, নাইক্ষ্যংদিয়া, পশ্চিম পোকখালী ও পূর্ব গোমাতলী ব্রীজ ঘাটের দু’তীরে স্থাপনা তৈরি করায় এক সময়ের খরস্রোতা ঈদগাঁও নদী পরিণত হয়েছে স্থির স্থলভূমি হিসাবে। অন্যদিকে বৃহত্তর ঈদগাঁওর মাইজপাড়া ভরাখাল, কালিরছড়া, বোয়ালখালী- ইউছুপেরখীল ছড়া, ইসলামপুর ফুলছড়ি ছড়া, ঈদগাঁও চান্দের ঘোনা ছড়া, ইসলামপুর নাপিতের ছড়ার দু’তীর এখন পুরোপুরি বেদখল। ঈদগাঁও নদী ও কালিরছড়া খালের কিছু কিছু জায়গায় বালু মহাল তৈরি করে পুরো নদীই দখল করে নিয়েছে বলে এক সূত্রে প্রকাশ। প্রাপ্ত তথ্য মতে, কতিপয় চক্রের সহায়তায় নদীর কূলে ও চরে নারী পুরুষ দখলে মেতেছে। ঈদগাঁও নদীর সবটাই এখন দখলে। এ নদীর বুকেই গড়ে উঠেছে পাড়া গ্রাম। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা তেমন কোন আইনগত ভূমিকা না নেওয়ায় দখলদারিত্ব স্থায়ী হয়ে পড়েছে। এসব অবৈধ দখল উচ্ছেদের বিষয়ে সচেতন মহলের পক্ষ থেকে জোর দাবী উঠেছে। অন্যথায় ঈদগাঁওর ছোট বড় সকল নদী, খাল,ছড়া গুলো অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে। নানামূখী অব্যবস্থাপনার কারণে পানি প্রবাহ হারানো নদীগুলো এভাবে দখলে চলে যাচ্ছে। অবৈধ দখলে চলে যাওয়া নদ নদী উদ্ধারে সরকারের রাজস্ব বিভাগের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী এলাকাবাসীর।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।