২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

ঈদগাঁওতে পানি নিষ্কাশন না থাকায় জলবদ্ধতা

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ডিসি সড়ক সংস্কারের প্রভাব পড়েছে বাজারের অন্যান্য গলিতে। সড়কটি উঁচু হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে প্রত্যাশার এ বৃষ্টি স্বস্তির পাশাপাশি সাময়িক দূর্ভোগ ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে। গত ৬ মার্চ থেকে মাঝারী ধরণের এ বৃষ্টির ফলে ঈদগাঁও হাসপাতাল রোডে রোগীসহ যাতায়াতকারী লোকদের অগ্রিম আভাস দেখা যাচ্ছে। রোডে কোন ধরণের ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকার ফলে প্রথম বৃষ্টির কাঁদা, ময়লা পানি রোডটি একাকার করে ফেলে। পয়ঃনিষ্কাশনের দুর্গন্ধযুক্ত গোড়ালি পরিমাণ কাঁদা মিশ্রিত পানিতে রোগীসহ পথচারীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উক্ত হাসপাতাল রোডের ব্যবসায়ীদের পড়তে হয় প্রতিবছরের পরিচিত বিরক্তিকর সমস্যায়। বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোডের সাথে সমন্বয় না করলে ভবিষ্যতে এ সড়কটি বাজারবাসীর কোন উপকারে আসবেনা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁওর সরকারী স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের গেইট সংলগ্ন সরকারী পুরনো হাসপাতাল সড়কটির নাজুক অবস্থা। পুরো সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গোড়ালি পরিমাণ পানিতে সয়লাব হয়ে উঠেছে। রাস্তা টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে শুরু হয়ে শহীদ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী সড়কে গিয়ে মিশে গেছে। অতীতে এ সড়কটি ছিল ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক। ডিসি রোড নির্মিত হওয়ায় এর গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত কমে গেলেও এখনো শত শত লোকজন উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করেন।
দেখা গেছে, প্রধান সড়কের ভূমি অফিস থেকে বাজারের কেন্দ্রীয় কালিবাড়ী গেইট পর্যন্ত এর অবস্থা অত্যন্ত বেগতিক। স্থানীয় হেনা ফার্মেসীর মালিক নুরুল হুদা ফরাজী জানান, অল্প বৃষ্টিতেই যদি এমন দূর্ভোগে পড়তে হয় তাহলে আগামী বর্ষার টানা বৃষ্টিতে হাসপাতাল রোডের কী হবে তা সহজে অনুমেয়। পাশর্^বর্তী অন্য সড়ক উঁচু করে ফেলায় এ সড়কটি নিচু হয়ে গেছে। তাই নির্মাণাধীন ডিসি সড়কের সাথে এর সমন্বয় সাধন প্রয়োজন।
জামান মেডিকোর সত্ত্বাধিকারী জিলুল এহেছান বুলু বলেন, এখন থেকে সমস্যার সমাধান না করলে এ রোডে যাতায়াতকারী রোগী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ যাত্রীদের কপালে দুঃখ আছে এটাই বুঝা যাচ্ছে। তাই পানি জমলেই পথচারীদের পোহাতে হয় দূর্ভোগ।
নূরী ফার্মেসীর মালিক ডা. আলহাজ¦ সিরাজুল মোস্তফা নূরী বলেন, স্থানীয় সরকারী এ হাসপাতালে দূর-দূরান্তের শত শত রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। হাসপাতালের সম্মুখস্থ এ সড়কটির তথৈবচ অবস্থায় তাদের দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। চাউল দোকানী মধ্যম মাইজ পাড়ার শামসুল আলম জানান, একসময় ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য একচেটিয়া এ সড়ক কেন্দ্রিক ছিল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সড়কটি যেন এখন ঐতিহ্য হারাতে চলেছে। মেসার্স মমতাজ স্টোর সত্ত্বাধিকারী নুরুর রহিম জানালেন, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ধ্বস নেমেছে। জনগণকে পোহাতে হচ্ছে তীব্র যন্ত্রণা।
বিষয়টির ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আবুল বশরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মেডিকেল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার পরামর্শ দেন। জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির মেডিকেল অফিসার ডা. তৃণা সাহা জানান, জলবদ্ধতার কারণে তিনি নিজেও একজন ভূক্তভোগী। এ মেডিকেল কর্মকর্তা আরো বলেন, অন্য সবার মত আমরাও এ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছি। উলেখ্য, এ সড়কের উভয় দিক তথা পূর্ব ও পশ্চিম পাশের্^ মুদি, স্টেশনারী, কুলিংকর্ণার, জুতা, চাউল, ঔষদের দোকানসহ ২০/২১টি দোকান রয়েছে। সড়কের নাজুক অবস্থার কারণে তাদের অবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। ভূক্তভোগীরা হাসপাতালে আগত রোগী ও সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে অবিলম্বে উক্ত সড়কটি প্রয়োজনীয় পরিমাণ উঁচু করে ডিসি সড়কের সাথে সমন্বয় সাধনের দাবী জানিয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।