কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে সম্প্রতি বেড়েই চলেছে চুরি, ডাকাতি-ছিনতাই, খুনসহ বিভিন্ন অপকর্ম। প্রকাশ্যে পুলিশের সাথে উঠাবসা ও ঘুরাফেরা করছে চিহ্নিত অপরাধী ও বিভিন্ন মামলার আসামীরা। এসব অপরাধীদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপকর্ম হচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। দিন দিন এসব অপকর্ম বেড়ে যাওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে সর্বস্তরের জনগণ। সম্প্রতি কয়েকটি আলোচিত ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে জনমনে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওতে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষাধিক জনসাধারণের বসবাস। অতীতে বাজার ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় সরকারী ও বেসরকারীভাবে একাধিক সংগঠন গড়ে উঠলেও অভ্যন্তরীণ নানা কোন্দলে তা ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রধান এ বাণিজ্যিক এলাকা অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়ার পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় নিপতিত হচ্ছে। বিশেষ করে বাজারের বিভিন্ন অংশ একাধিক ইউনিয়নের অধীন হওয়ায় নিরাপত্তা ও বাজারের উন্নয়নে ব্যবসায়ী সংগঠনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে মতভিন্নতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে অরক্ষিত হয়ে আছে এ বাণিজ্যিক এলাকা। ফলে ঈদগাঁওতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড।
জানা যায়, ৩ ফেব্রুয়ারী ইসলামপুরে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে শাহজালাল ও মহিউদ্দীন প্রকাশ ককটেল মহিউদ্দীন নামের ২ ব্যক্তি খুন হয়েছে। এছাড়া ৪ ফেব্রুয়ারী ভোর সাড়ে ৪ টায় ঈদগাঁও কালিরছড়ায় গরু চুরি করতে যাওয়া চোরদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে গরুর মালিক মৃত আমির হামজার পুত্র ছৈয়দ আলম। তিনি বর্তমানে চমেক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তার স্বজনরা। এরই কয়েকদিন আগে চান্দের ঘোনা বদরুদ্দোজার বাড়ী থেকে ২টি, আবু বক্করের বাড়ী থেকে ৪টি, সাতঘরিয়া পাড়ার সিকান্দরের বাড়ী থেকে ২টি ও চেহের আলমের বাড়ী থেকে ২টিসহ মোট ডজন খানেক গরু চুরি হয়েছে। অন্যদিকে সপ্তাহ খানে আগে পালাকাটার বাসিন্দা মৌলভী আবদুল খালেকের বাড়ী থেকেও ৪টি গরু চুরি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে করে গরুর মালিক ও ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
দগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুজ্জামান জানান, কিছু কিছু ঘটনা ঘটেনি তা বলা যাবেনা তবে আমরা অবগত হওয়ার সাথে সাথে অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।