২৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

ঈদগাঁওর স্কুল গুলোতে ভর্তি ফির নামে চলছে নৈরাজ্য!

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর স্কুল গুলোতে ভর্তি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত ভর্তি ফির চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। নি¤œ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর অভিবাবকদের একেবারে নাভিশ্বাষ উঠেছে। তাদের দাবী স্কুলের বেধে দেয়া টাকা দিয়ে ভর্তি হতে না পারলে বই দিচ্ছে না, এমনকি স্কুলের আশেপাশেও আসতে দিচ্ছে না। এর পরে নতুন জামা, স্কুল ব্যাগ খাতা কলমসহ নানা কিছু কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। আবার কেজি স্কুল গুলোতে নার্সারীতে ভর্তি ফি নেয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা যা অস্বাভাবিক বলে মনে করছে সচেতন মহল। আবার তাদের বোর্ড বইয়ের বাইরে আরো বেশ কিছু বই কিনতে বাধ্য করছে এতে তারা আর্থিক অনটনের মুখে পড়েছে বলে জানান ।
ইসলামাবাদ খোদাইবাড়ী এলাকার সেলিম বলেন, কেজি স্কুল গুলোর নিয়ন্ত্রন মনে হয় সরকারের হাতে নাই। না হলে একজন শিশু শ্রেনীতে ভর্তি করানোর জন্য তারা কিভাবে ১ হাজার টাকা দাবী করে । তার উপর তাদের বেশ কিছু বই আছে যে গুলো সরকারের বোর্ড বই নয় সেগুলো কিনতে বাধ্য করে এছাড়া কেজি স্কুলের নির্ধারিত টেইলার্সে গিয়ে ড্রেস সেলাই করতে হবে। আর তাদের পছন্দের লাইব্রেরী থেকে বই কিনতে হবে। সব মিলিয়ে একটি অরাজক অবস্থা।
সিকদার পাড়া এলাকার ইসলাম বলেন, আমার ২ ছেলে মেয়ে বর্তমানে লেখাপড়ায় আছে । স্কুল কর্তৃপক্ষ নাকি বলেছে ভর্তি ফি দিতে না পারলে নতুন বইও পাওয়া যাবে না। অথচ আমার ছেলে মেয়েরা প্রত্যেকে ভাল পাস করে উপরের ক্লাসে উঠেছে। এভাবে ভর্তি ফি বাড়ালে আমরা সাধারন মানুষজন কোথায় যাব ? তাহলে কি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া না করিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখবো।
সচেতন অভিভাবক বলেন, বোর্ড বা শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে একটি প্রঞ্জাপন নিয়ে কোন শ্রেনীতে পূর্ন ভর্তি কত টাকা, আর নতুন ভর্তি কত টাকা, সেটা নির্ধারন করে দেয়া দরকার। আর যারা এ নির্দেশ মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আর কেজি স্কুল গুলোর বিষয়ে সাধারন মানুষের ব্যাপক সোচ্চার হওয়া দরকার। তারা সম্পূর্ন ব্যবসায়িক ভাবে স্কুল কে বেছে নিয়েছে। তারা সব দিক থেকে কোমল মতি বাচ্চাদের নিয়ে ব্যবসা করে।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার জন্য এত কিছু করছে তবুও কেন স্কুলে ভর্তি ফির নামে এত নৈরাজ্য হবে?
কক্সবাজার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাম মোহন সেন বলেন, স্কুলে ভর্তি ফি নেয়ার ব্যাপারে বোর্ডের নীতিমালা আছে সেটা অনুসরন করা বাধ্যতা মুলক যারা এটা করছে না তাদের বিরুদ্বে যদি অভিভাবকরা অভিযোগ দেয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া যায়।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইটিসি মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত ফি নেয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্বে পদক্ষেপ নেবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।