১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

ঈদগাঁওর হাসপাতালে ঔষুধ সংকট: রোগীরা বিপাকে

oshod
টানা হরতাল-অবরোধসহ নানা কারণে সরবরাহ না থাকায় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে। হর হামেশা  ওষুধ না পেয়ে রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। গত শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পোকখালী  এলাকার সাজেদা খাতুন জানান, ঈদগাঁও সরকারী হাসপাতাল থেকে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়নি। একই অভিযোগ ইসলামপুরের গিয়াস উদ্দিনের। তিনি বলেন আগে হাসপাতাল থেকে যতটুকু ওষুধ পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন ওষুধ বাইরে থেকে কিনে নিতে।
কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সদরে একটি সদর হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এগুলোতে বছরে প্রায় লাখ লাখ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকে। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকে প্রায় কয়েক হাজার রোগী। রোগীদের জন্য বছরে প্রায় এক কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টাসিড, মেট্রোনিডাজল, পেনিসিলিন-ভি, ওমিপ্রাজল, টেট্রাসাইক্লিন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া ওষুধ (এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড) কারখানা থেকে আনা হয় প্রতিবছর। পরে তাঁরা রোগীদের মধ্যে ওষুধ বিতরণ করেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন হরতাল আর অবরোধের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ঔষুধের গাড়ি আসছেনা। যার কারণে চলতি মাসের শুরু থেকে ওষুধের সংকট শুরু হয়েছে। তবে দ্রুত ওষুধ আনা যাবে বলে তিনি  আশা প্রকাশ করেন।
ঈদগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুদামরক্ষক বলেন, সংকট শুরু হওয়ায় তাঁরা চাহিদার অর্ধেক ওষুধ রোগীদের মধ্যে সরবরাহ করছেন। প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজলসহ কয়েকটি ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। অনেক রোগী ওষুধ কম পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, এটাকে ঔষুধ সংকট বলা যাবে না। হাসপাতালগুলোতে কিছু ওষুধ না থাকায় তাঁরা সেগুলো দিতে পারছেন না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।