কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই মিনি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে হিল লাইন মিনি বাস মালিক সমিতি। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছে উক্ত সড়কে চলাচলকারী তিন ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষ। হিল লাইন মিনি বাস মালিক সমিতির অভিযোগ রাস্তা খারাপ, প্রতি দিন গাড়ী চালিয়ে লাভবান হওয়াতো দুরের কথা লোকশান গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এছাড়া ঈদগাঁও পালপাড়া নামক স্থানে রাস্তার মেরামতের কাজ হওয়ায় সরাসরি গাড়ী চালানো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
মালিক সমিতির অভিযোগ, বিকল্প রাস্তা তৈরী না করে চলাচলের রাস্তা বন্ধা করে দেওয়ায় মাঝ পথ থেকে গাড়ীতে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছেনা। যার ফলে নিরূপায় হয়ে গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান মিনি বাস মালিক সমিতির বাইশারীতে দায়ীত্বরত কাউন্টার ম্যানেজার সেলিম। গাড়ী বন্ধের কারণে এখন অসহনিয় দুর্ভোগে পড়েছে ঈদগড়-বাইশারী ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষ।
স্থানিয়দের অভিযোগ, কোন ধরণের পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই হঠাৎ বাস বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এখন মনে হচ্ছে ৩ ইউনিয়নে অঘোষিত হরতাল পালন করছে মালিক সমিতির সদস্যরা। বর্তমানে বাস চলাচল না থাকায় তিন ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ উপায় না পেয়ে সিএনজি ট্যাক্সি, টমটম, মটর সাইকেল ও রিক্সা ভ্যান নিয়ে ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ই মার্চ সকাল থেকে মিনি বাস বন্ধ থাকার কারণে এই পাহাড়ী পথ দিয়ে ক্ষুদ্র যানবাহন নিয়ে ঝুকি ও নিরাপত্তাহীনতায় চলাচল করছে এলাকার লোকজন।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম বলেন, তিনিও জানেন না কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিনি বাস মালিক সমিতি।
সরজমিনে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ২৫ কিলোমিটার সড়কে খানা খন্দ, বিশাল বিশাল গর্ত, মাঝখানে ফাটল এবং মাঝে মধ্যে রাস্তা পাহাড়ী ছড়ায় রূপ ধারণ করেছে। আগামী বর্ষা মৌসূমে উক্ত সড়ক মেরামত না হলে সকল যানবাহন বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে শুকনো মৌসুমে কোন রকম এসব খানা খন্দ ও গর্তের মধ্যদিয়ে গাড়ী চলাচল করছে। ঈদগাঁও ষ্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। তবে বিকল্প কোন রাস্তা উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তৈরি না করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
হিল লাইন মিনি বাস মালিক মৌলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরাসরি গাড়ী চালাতে না পারায় অর্ধেক পথ থেকে যাত্রী না পাওয়ার কারণে এবং মেরামতকালীন বিকল্প রাস্তা না থাকায় আপাতত গাড়ী বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন গাড়ী চালিয়ে চালক ও তেল খরচ উঠানো সম্ভব হচ্ছেনা।
বাইশার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আবু মুছা বলেন, বিষয়টি নিয়ে তার কাছে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং কোন ধরণের অভিযোগ আসেনি। তারপরেও তিনি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।