এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়াঃ ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বৈরী আবহাওয়ার পরও দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। দেশের প্রথম চকরিয়ার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীতে ঠাসা রয়েছে। এদিকে দর্শনার্থীরা যাতে নিরাপদে পার্কের বিভিন্ন স্পর্ট ঘুরে দেখতে পারে সেজন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ ও টুরিষ্ট পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা পার্কের বিভিন্ন বৈচিত্রময় ও প্রায় বিলুপ্ত পশু-পাখি দেখতে ও পাখির কিচির-মিচির কলতান শুনতে ভীড় করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। ঈদের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে সাফারি পার্কে।
সরজমিনে দেখা গেছে, ঈদের দিন থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও হাল্কা রোদ উপেক্ষা করে সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ভ্রমণের জন্য দর্শনার্থীরা পার্কে ভীড় করছে।
দর্শনার্থীরা পাকের বেস্টনীতে বাঘ, সিংহ, উল্টো লেজী বানর, লাম চিতা, হনুমান, উল্লুক, কালো শিয়াল, জলহস্তী, ওয়াইল্ডবিষ্ট, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, প্যারা হরিণ, মিঠা পানির কুমির, মঁয়ূর, বনমোরগ, বন্য শুকর, তারকা কচ্ছপ, বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণী ঘুরে ফিরে দেখছিল দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে পার্কে দর্শনার্থী আগমনকে ঘিরে আগে থেকে কির্তৃপক্ষ পার্কটিকে নানা ধরণের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বর্ণিল সাজে আরো আকর্ষনীয় করে তুলেছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগ যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীরা বন্যপ্রাণী দেখার পাশাপাশি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মনের সুখে উপভোগ করছেন নান্দনিক বৃক্ষ রাজির ফাঁকে ফাঁকে উন্মুক্ত বিচরণ করা হরিণ,খরগুস, বানর। কেউ কেউ পার্কের বাইরে নব নির্মিত লেক ও ফুল বাগানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
সাফারি পার্ক সূত্র জানায়, বুধবার ঈদের দিন বিকেল থেকে শনিবার পর্যন্ত পার্কে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম হয়েছে। পার্কের প্রধান গেইটের বাইরে নির্মিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিশাল ম্যুরাল ছাড়াও পার্কের বাইরে নব নির্মিত লেক ও বাগান ছিল দর্শনার্থীদের কাছে বেশ আকর্ষনীয়। ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দর্শনার্থীদের ভ্রমণকে আরো উপভোগ্য করতে ইতোমধ্যে গাজীপুরস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে ১০টি ময়ুর, ২টি কালো ভল্লুক ও ১টি অজগর সাপ আনা হয়েছে। নতুন আনা এসব প্রার্ণীদের বেস্টনীতে দর্শনার্থীদের সমাগম বেশি। এছাড়া বাঘ-সিংহসহ নানা প্রাণীদের বেস্টনীতেও দর্শনার্থী সমাগম প্রচুর।
ঈদের দিন দর্শনার্থী কম হলেও পরদিন থেকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়ছে। ঈদের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত অন্তত ৬০হাজার দর্শনার্থীর আগম ঘটেছে পার্কে। প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে পার্কে। আরো বেশ কয়েকদিন দর্শনার্থীদের এ সমাগম থাকবে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে স্থাপিত টুরিষ্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল বোস বলেন, আইন-শৃঙ্গলা নিয়ন্ত্রণে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে পার্কে বিদেশী পর্যটক আসলেই তাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।