জেলার ঈদ বাজারকে ঘিরে বখাটেদের উৎপাত বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন মার্কেটের সামনে বখাটেরা মেয়েদের নানা কৌশলে উত্যক্ত করছে। অনেক ব্যবসায়ীরা তা দেখেও ব্যস্ততার কারণে কিছুই করতে পারছেন না।
শনিবার শহরের এ.ছালাম মার্কেট, ফিরোজা শফিং কমপ্লেক্স, ফজল মার্কেট, নিউ মার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট ও কোরাল রীফ প্লাজা গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন পয়েন্টে ৫ থেকে ৬জনের কয়েকটি যুবকের দল দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। মেয়েরা যাতায়াত বা মার্কেটে ঢুকলেই কৌশলে উত্যক্ত করা হচ্ছে। কোনো কাজ ছাড়াই তারা দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে পাশ দিয়ে মেয়েরা গেলেই বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য ছুঁড়ে দিচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন শত মহিলা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। অনেকেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্যক্তকারীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডতার ঘটনা ঘটছে অহরহ। জানা গেছে, শহরছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্বনামধন্য বিপনী বিতানে একইভাবে মেয়েদের উত্যক্ত করা হচ্ছে। অনেক সময় ভীড়ের মধ্যে মেয়েদের গায়ে ধাক্কা ও হাত বুলাচ্ছে বখাটেরা।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের কয়েকজন ছাত্রী বলেন, কেনাকাটার জন্য পানবাজার রোডে আসতে হয়। বখাটেরা যাতায়াতের সময় বিভিন্ন অশ্লীল মন্তব্য করে। অনেকেই ইচ্ছে করেই, ভিড় জমিয়ে গায়ে ধাক্কা ও হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। এখন ঈদে মানুষের ভিড় বাড়ায় তাদের উৎপাত এখন বেশি বেড়েছে।
কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুকুল জানান, ঈদ বাজারে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ব্যবসায়ীরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ব্যবসায়ী নেতারা ঘুরে ঘুরে মার্কেট গুলোতে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করছে।
সদর মডেল থানার ওসি রণজিত বড়–য়া বলেন, ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশের সদস্যরা মার্কেটগুলোতে টহল দিচ্ছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন জানান বলেন, ইভটিজারদের ধরতে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি মার্কেটে সার্বক্ষণিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরাও টহল দিচ্ছে। অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।