১৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

উখিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান নির্মাণ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজার স্টেশনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক স্হাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক সমিতি ও জায়গার মালিক অখিল চন্দ্র বড়ুয়ার ওয়ারিশগণ।
অভিযোগে প্রকাশ, গতকাল উখিয়ার কোটবাজার এলাকার ক্ষিরোদ চন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে বোধিরত্ন বড়ুয়া ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন রুমখাঁ চৌধুরী পাড়া এলাকার জুবাইর উদ্দিনের ছেলে সাকের উদ্দিনের সাথে যোগসাজসে লোহার এ্যাঙ্গেল দিয়ে তড়িগড়ি করে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করে।
খবর পেয়ে বাদীগণ বাধা দিলে তা অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। পরে অভিযোগকারীরা আইনের আশ্রয় নিলে উখিয়া থানা পুলিশ দফায় দফায় ঘটনাস্থলে পৌছে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে কোটবাজারস্থ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি খুরশেদ আলম বাবুল জানিয়েছেন, প্রশস্থ পার্কিং ব্যবস্থার লোভনীয় অফার দেখিয়ে আরব সিটি সেন্টানে দোকান ভাড়া নিয়েছে ডেভেলপার। সম্প্রতি মার্কেটের সামনে বেআইনী ভাবে দোকান নির্মাণ করায় আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছি। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব। একই কথা বলেছেন সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
অপর এক অভিযোগে প্রকাশ, রত্নাপালং মৌজার আর.এস ৯৪৩ খতিয়ান রূপসিং বড়ুয়ার ছেলে অখিল চন্দ্র বড়ুয়ার নামে ০-১১ শতক জমি চুড়ান্ত প্রচার অাছে। তৎমূলে ৭৭১নং বিএস খতিয়ানে অখিলের ছেলে নির্মল চন্দ্র বড়ুয়ার নামে ০-০১ শতক দখলে থাকার বিষয়ে লিপি আছে।
এছাড়াও ক্ষিরোদ চন্দ্র বড়ুয়া ও তৎপুত্র জিন রত্ন বড়ুয়ার নাম ২১০১ এবং ৭৭১ খতিয়ানে ভুলবশত লিপি হয়।
এ ব্যাপারে ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক পলাশ বড়ুয়া ও সুমন বড়ুয়া বলেন, আমাদের দাদার পিতা অখিল চন্দ্র বড়ুয়ার তিন ছেলে ওয়ারিশসূত্রে এই জমির মালিক হয়। তৎমধ্যে সবাই হিস্যা অনুযায়ী নিজেদের স্বত্ব বিক্রী করেনি। কিস্তু সাম্প্রতিক সময়ে জমি-জমার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দূর্লোভের বশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে দোকান নির্মাণ করছে।
গত ১/১২/২০১৯ সালে কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ খাইরুন্নেছা অপর মামলা নং- ৭০/২০১৯ মূলে এই আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বোধিরত্ন বড়ুয়া বলেন, অখিলের দুইজন ওয়ারিশ থেকে আমরা স্বত্ব কিনে নিয়েছি। সে অংশে আমরা নির্মাণ কাজ করছি। একই কথা বলেন, সাকের উদ্দিন, সে তার স্ত্রীর নামে কেনা অংশে দোকান নির্মাণ করছে বলে জানায়।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, আরএস দাগ ৮৪ তৎমূলে বিএস ১২৬ দাগের উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সেখানে কোন কিছু নির্মাণ করা যাবে না। তারপরও বিরোধীয় অংশ বাদ দিয়ে মালিকানা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার নির্দেশ দেন। তিনি এও বলেন, কেউ শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমণ করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।