বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ায় সিএনজি অটোরিকশা ও মিনিট্রাকের (ডাম্পার) মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারানো চারজনের পরিচয় মিলেছে। এদের মাঝে একজন আশ্রিত হিন্দু রোহিঙ্গা অপর তিনজন স্থানীয়। আহত দুজনও স্থানীয় বলে জানিয়েছেন শাহপরী হাইওয়ে পুলিশ।
নিহতরা হলো, উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের হিন্দু রোহিঙ্গা মৃত কানপুরা শর্মার ছেলে সোনাতন শৰ্মা (৩০), স্থানীয় জুম্মাপাড়ার সৈয়দ আলম বাবুলের ছেলে মো. আমিন (২৪), কুতুপালং হাঙ্গরঘোনার সৈয়দ আলমের ছেলে নুরুল ইসলাম(১৮) ও শিকদার বিলের নুরুল আলমের ছেলে জেহান (১৪)।
আহতরা হলেন, উখিয়ার শিকদার বিলের সোনা মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেন(২৫) ও রাজাপালংয়ের করিম উল্যাহর ছেলে মুহিত (২২)।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন টিভি টাওয়ারের ঢালুতে মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনা ঘটে।
উখিয়াস্থ শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শেফায়েত হোসেন জানিয়েছেন, কক্সবাজারমুখী সিএনজিটি ( কক্সবাজার-থ নং ১১-৫৩২৯) টেকনাফগামী ড্রাম ট্রাকের (চট্ট মেট্রো ট-১১-১৪৮০) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ লেগে রাস্তার উপর উল্টে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজির যাত্রী, চালকরা নিহত হয়। আহতও হয়েছে আরো দুজন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মাটিভর্তি মিনিট্রাকটির বেপরোয়া গতির কারণে ঢালু বেয়ে আসা সিএনজিটি ঢালু এবং অন্ধকার থাকায় ট্রাকের মুখোমুখি পড়ে যায়। দুটি গাড়ি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। রাস্তায় বয়ে গেছে রক্তের ফোয়ারা। গাড়িগুলো রাস্তায় পড়ে থাকায় জান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। উখিয়া থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ গাড়িগুলো সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর দাফন করা হয়েছে বলে জেনেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজীবসহ স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহত সকলের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।