উখিয়া উপজেলার সর্বত্র বোরো চাষাবাদ উৎসবে মেতেছে কৃষকরা। চারা রোপন থেকে শুরু করে সেচের পানি দেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। সেইসাথে পল্লী বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং চিন্তার ভাজ ফেলে দিয়েছে ।
সরেজমিনে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রায় ৬০টি গ্রামে বোরো চাষাবাদের কৃষক কৃষাণীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। রোপন কাজ প্রায় শেষ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
রতœাপালং ইউনিয়নের কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, বোরো মৌসুম শুরু হতে না হতেই পল্লী বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬ ঘন্টা ও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার আবাদী ১০ হাজার ১শত হেক্টর জমির মধ্যে ৬ হাজার হেক্টর বোরো চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা জমিতে চারা রোপন থেকে শুরু করে সেচ এবং সার প্রদানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই বছর ব্রি ২৮ নং উচ্চ ফলন শীল নামক জাতের চাষ করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, বোরো চাষে সেচ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে।
উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, এই বোরো মৌসুমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা না হলেও এইবারও ভালো ফলনের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
অবিলম্বে লোডশেডিং বন্ধ করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের মাধামে চাষাবাদ অব্যাহত রাখার দাবী দাবী জানান সচেতন কৃষকরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।