প্রতিদিন ভোরে কাঁদে গামছা, হাতে লুঙ্গী, দাঁতের মাজন দিয়ে দাঁত মেজে মেজে এখন আর কেউ শান্তির মা’ র পুকুরে গোসল করার জন্য আসেনা, কালে বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে শত বৎসরের প্রচীন পুকুরটি। উখিয়া উপজেলার বানিজ্যিক ষ্টেশন কোটবাজার ষ্টেশনের পুর্ব পার্শে সরকারী খাস জমিতে অবস্হিত ঐতিহ্যবাহী শান্তির মা’র পুকুর নামক পুকুর টি এখন অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে।
কোটবাজার ষ্টেশনের শত শত ব্যবসায়ী সহ আশে- পার্শের হাজার মানুষের কোলাহল পুকুর ঘাটে আর দেখা যায় না। পরিত্তাক্ত শান্তির মা’র পুকুর পাড় এখন পতিতা, জুয়াড়ী, ও মাদক সেবীদের আস্হানায় পরিনত হয়েছে।
সন্ধা নামার সাথে সাথে পুকুর পাড়ে বেড়ে যায় অপরাধীদের আনাগোনা। দিনরাত মাদক সেবী এ মাদক বিক্রতা, জুয়াড়ী এবং রাত নামার সথে পতিতা, খদ্দের দের উপস্হিতি আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে, ফলে বাজারে সওদা করতে আসা ক্রেতা সাধারন কে পার্শের রাস্তা দিয়ে শংকা নিয়ে চলাচল করতে হয়। এছাড়াও পুকুর টিতে কোন প্রকার তদারকি না থাকায় মল মুত্র ময়লা অবর্জনা ভরপুর হয়ে গেছে চার পাড়।,যার কারনে ব্যবহারের অনুপযোগী পড়েছে ঐতিহ্যবাহী শান্তির মা’ র পুকুর। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম মাবু বলেন, কোটবাজারের ঐতিহ্য শান্তির মা’ র পুকুর, যার পানি ব্যবহার করে এলাকার হাজার হাজার মানুষ গোস ল করা কাপড় কাঁচা সহ তাদের নিত্যদিনের প্রয়োজন মিটিয়েছে এই শান্তির মা’ র পুকুরের পানি ব্যবহার করে। এলাকাবাসীর সার্থে পুকুরটি পুনঃখনন করে সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের মাধ্যে ব্যবহারের উপযোগী করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। রত্না পালং ইউনিয়নের বিশিষ্ট মুরব্বী কোটবাজারের তোফাইল ফাতেমা শপিং কমপ্লেক্স এর সত্তাধিকারী আলহাজ্ব তোফাইল আহমদ চৌধুরী বলেন ঐতিহ্যবাহী শান্তির মা’ র পুকুরটি সরকারি খাস জমিতে প্রায় ১৩০ বছর আগে খনন করা হয় ঐ পুকুর পাড়ে এক মহিলার বাড়ী ছিল যা এখনো আছে, সে বাড়িতে এক মেয়ের নাম ছিল শান্তি বালা, তখন থেকে এলাকাবাসী ঐ পুকুর কে শান্তির মা’র পুকুর হিসেবে পরিচিত লাভ। বর্তমান পুকুরটি ভরাট হয়ে ব্যবহার করা যাচ্ছেনা, স্হানীয় ভাবে কোন পুকুর না থাকায় জনবহুল কোটবাজার ষ্টেশন বাসীর এক মাত্র ভরসা শান্তির মা’ র পুকুরটি খনন করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে দিলে শত শত এলাকাবাসী পুনরায় শান্তির মা’ র পুকুরের সুফল ভোগ করতে পারবে। পাশা- পাশি মাছ চাষ করার জন্য টেন্ডারের মধ্যে ইজারা দিলে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে দিন দিন পুকুরের সংখ্যা কমে আসছে, হঠাৎ যদি কোন কারনে পাশেপাশের কোথাও আগুন লেগে যায় তাহলে ফাইয়ার সার্ভিস এসে আগুন নেবানোর জন্য পানি পাওয়া যাবেনা, সার্বিক বিবেচনা করে কোটবাজার শান্তির মা’ র পুকুরটি পুনঃখনন করে ব্যবহারের উপযোগী করে জন সাধারনের দুর্দশা দুরিকরনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে স্হানীয় কোটবাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।