কক্সবাজার জেলার উখিয়ার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পুলিশের জিরো টলারেন্স ঘোষনায় সীমান্তের চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদাররা গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে পাড়ি জমিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবী করেছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্র“ সীমান্তের জলপাইতলী এলাকার ইয়াবা আরতদার নামে খ্যাত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত মৃত কবির আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ নুর প্রকাশ ইয়াবা ছৈয়দ কে ৩ হাজার পিস ইয়াবা সহ মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুমধুম বেতবুনিয়া কুলাল পাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটককৃত উক্ত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯ লক্ষাধিক টাকা বলে ঘুমধুম পুলিশ জানিয়েছেন। তার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত জনৈক মমতাজের ছেলেঁ ইমাম হোসেন, একই এলাকার ইয়াবা জয়নাল, বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা নামধারী কুতুপালং এলাকার নুর মোহাম্মদ মিজান প্রঃ ইয়াবা মিজান, একই এলাকার আলী আকবর, উখিয়ার হিজলিয়া এলাকার মনছুর আলীর দুই ছেলে মোকতার ও আকতার, একই এলাকার ইসলাম ড্রাইভারের ছেলে হাকিম, ওই এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে মোকতার প্রকাশ সিএনজি মোকতার সে সম্প্রতি কোটবাজার থেকে ইয়াবা সহ উখিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিল, সাদৃ কাটা এলাকার আলম ড্রাইভার, নুরু, হিজোলীয়া এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া, খয়রাতি পাড়া এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে আতাউল্লাহ, জাফর হাজীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন, ঘিলাতলী এলাকার মুবিন, উখিয়া দারোগা বাজারের উত্তম বিশ্বাস, সিকদার বিল ভুইয়া পাড়া এলাকার সাহাব উদ্দিন, সহ গডফাদাররা গ্রেপ্তার এড়াতে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্তা বাবুদের ধারে ধারে ঘুরছে বলেও জানা যায়। কারন উক্ত কথিত রাজনৈতিক কর্তা বাবুরা দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কে লালন করার পাশা পাশি সার্বিক সহযোগীতা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে মদদ দিয়ে আসছিল বলেও জানা যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে স্থানীয় সুবিধা ভোগী নেতারা তাদের সুবিধা ভোগ করতে না পেরে তারা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে সমন্বয় করে কোটি টাকার মিশন নিয়ে সীমান্তের মাদক মুক্ত সমাজ গঠন কল্পে নিয়োজিত সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আতংক ফাঁড়ির ইনচার্জ এরশাদুল্লাহ সহ কর্মকর্তাদের অন্যত্রে বদলীর জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানা যায়। সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দায়েরকৃত মাদক মামলায় হাজীর পাড়া এলাকার বদিউর রহমান সিকদারের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অন্যতম গডফাদার মীর আহম্মদ প্রকাশ ইয়াবা মীর আহম্মদ কে উখিয়ার ডাক বাংলোর ইয়াবা ষ্টেশন এলাকা থেকে উখিয়া থানা পুলিশ আটক করার পর থেকে, গ্রেপ্তার এড়াতে উক্ত সিন্ডিকেটের গডফাদাররা বর্তমানে হিজোলীয়া পালং গার্ডেনের সামনে ইয়াবা ষ্টেশন ঘোষানা দিয়ে ওই খানেই অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। তবে সম্প্রতি ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে এরশাদুল্লাহ নামক এক পুলিশ কর্মকর্তা ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করার পর থেকে ও তার নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক মোঃ আমিনুল ইসলাম, সহকারী উপ- পরিদর্শক মোঃ আলমগীর ও সহকারী উপ -পরিদর্শক মোঃ মোবারক সহ কর্মকর্তাদের সাড়াশি অভিযানের ফলে বর্তমানে সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিস্কৃতার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল্লাহ বলেন, আমি যত দিন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকব, সীমান্তের সুন্দর মনোরম পরিবেশ , ইয়াবা ও মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে ও জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে কাজ করে যাব এটাই হচ্ছে আমার প্রত্যাশা। ওসি নাইক্ষ্যংছড়ি মোঃ তৌহিদুল কবির ইয়াবা সহ যুবক আটকের সত্যতা স্বীকার করেন এবং ১৯৯০ সনের মাদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে বলে তিনি জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।