গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারী উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডটকম ও সমুদ্র বার্তা পত্রিকায় “ঘুমধুমে পাহাড় ধ্বসে যুবকের মৃত্যু জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ “শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমরা নিম্ন প্রতিবাদকারীগণের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদের একাংশে আমরা দুইভাইকে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তাহা ডাহা মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন উদ্দ্যেশ্যমুলক। আমরা উক্ত সংবাদের একাংশের জোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে যে, বাংলাদেশ -মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক নির্মাণ কাজের বালু সরবরাহ করছিল একটি গ্রুপ।মাটি সংগ্রহের পাহাড়টি মুলত আমার বসত ভিটির সীমানা লাগোয়া।
উক্ত বালু বহন কালে আমার বসত ভিটির একাংশ দিয়ে গাড়ী চলাচল করতঃতাও আমরা অনুমতি দিইনাই। সরকারের উন্নয়ন কাজ হওয়াতে দেশপ্রেমিক হিসেবে বালু ভর্তি গাড়ী চলাচলে বাধাগ্রস্ত করতে পারি নাই। গত ১২ জানুয়ারি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় এক দিনমজুর শ্রমিকের মৃত্যু হওয়াতে আমরা গভীর শোকাহত। মাটি কাটার বিষয়ে আমরা কোন ধরণের সুবিধাভোগী নয়। পাহাড়টি জনৈক আলম,মৃত্যু মীর কাসেম ও পরান আহমদের পরস্পর লাগোয়া ভিটির অংশ। এটি আমাদের ভিটির অংশ বা মালিকানাধীন নয়। কিন্তু পত্রিকায় একটি মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমরা দুই ভাইয়ের নাম জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে প্রশাসনের নিকট আমাদের ঘাঁয়েল, পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে মান মর্যাদা ক্ষুন্ন এবং হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা মাত্র। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল। আমরা পাহাড় ধ্বসের ঘটনার সময় একজন ঢাকায় অপরজন চট্রগ্রামে অবস্থান করছিলাম। কিন্তু পত্রিকায় আমাদের নামে সংবাদ দেখে হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি। মারা যাওয়া দিনমজুর যুবকটি আমাদের নিকটতম আত্মীয় হয়। তার অকাল মৃত্যুতে আমরাও শোকাহত এবং সমব্যথিত। আমরা প্রকাশিত সংবাদের একাংশের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। সাংবাদিক ভাইদের বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্য বহুল সংবাদ পরিবেশন করার আহবান জানিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার মিনতি জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারীঃ ছৈয়দ নুর ও নুরুল আমিন, পিতাঃসুলতান আহমদ ,নোয়াপাড়া,ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।