উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পাতাবাড়ি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জালাল মিয়া দীর্ঘধরে ক্ষমতাসীন দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিবে বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষাধিক টাকা।
এলাকাবাসীর একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিগত বছর তিনেক পূর্বে উক্ত জালাল মিয়া মরিচ্যা টু পাতাবাড়ি বেবী টেক্সি ভাড়ায় চালাত। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে হয়ে উঠেন একজন চিহ্নিত দালাল, পল্লী বিদ্যুতের বিশ্বস্থ মানুষ হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক লাইন দিবে বলে প্রতি ঘর হইতে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের সাথে চরম প্রতারণা শুরু করেন। এলাকাবাসীর চাপে বৈধ সংযোগ থেকে ক্ষমতাসীন দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে সংযোগ স্থাপন করেন কোন কোন বাড়িতে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে মৌসুমী ধানের চাষের মিটার দিবে বলে প্রান্তিক চাষীদের কাছ থেকে ২০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের অনুমোদিত সেচের মিটার থেকে অবৈধ ভাবে ৪টি সেচ মিটারের সংযোগ দেন। এরা হল- ক) শামশুল আলম, পিতা- মৃত আব্দুল আলী, খ) বদিউল আলম, পিতা- মৃত কবির আহামদ, গ) মোহাম্মদ ইসমাঈল, পিতা- হাজী আব্দুল জলিল, ঘ) আব্দুল জলিল, পিতা- মৃত গুরা মিয়া, সর্বসাং- পূর্ব হলদিয়া পালং, পাতাবাড়ি, মরিচ্যা পালং, উখিয়া, কক্সবাজার। এতে সোনা ঘোনা সরকারি ৪নং পিপি স্কীমের বৈধ সংযোগধারীদের ট্রান্সফারমারে ওভার লোড হয়ে বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়ায় চাষাবাদের বিঘœতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া যেকোন মুহুর্তে ট্রান্সফারমারটি নষ্ট হয়ে চাষাবাদে বিঘœতার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্খা দেখে এলাকাবাসী উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অলি আহামদ বাদী হয়ে “অনুমোদনকৃত সেচ প্রকল্পে স্থাপিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার হইতে অবৈধ ভাবে সংযোগ নিয়ে অবৈধ ব্যক্তিগণ চাষাবাদ করার বিরুদ্ধে অভিযোগ” শিরোনামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার খালিদ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জোয়ারদার গত ১৫/১২/২০১৬ইং তারিখে অভিযোগটি গ্রহণ করত: অভিযুক্ত জালাল মিয়া সম্পর্কে উপর্যুপোরি তদন্ত করবেন বলে আবেদনকারীদের আশ্বস্থ করেন। এদিকে প্রতিবেদক অভিযুক্ত স্থানে ঘুরে দেখেন যে, জালাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের দালালের কাজ করে আসছে। তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বৈধ অবৈধ সংযোগ দিবে বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অনেক ভুক্তভোগী প্রতিবেদকের কাছে কেঁদে কেঁদে অভিযোগ করেন। সর্বশেষ সংঘটিত হওয়া অনুমোদনকৃত সেচ প্রকল্পে অবৈধ সংযোগের কারনে ট্রান্সফরমারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় উখিয়া ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে উখিয়া জোনাল অফিসের কর্তব্যরত ডিজিএম খালিদ মোহাম্মদ জোয়ারদারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি মুটোফোনে প্রতিবেদককে জালাল বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন এবং আইনানুগ ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চার চার বার নির্বাচিত সাবেক সফল চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া চৌধুরী জানান, জালাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে দালালের কাজ করে আসছে, তার ব্যপারে অহরহ সালিশ বিচার করেছি, সে আওয়ামীলীগের কোন অঙ্গসংগঠনের সাথে জড়িত নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। তিনি জালাল মিয়ার বিচার দাবী করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।