শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা না থাকা, কর্তব্যরত ডাক্তারদের অবহেলা, ভুল চিকিৎসাসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে শরণার্থী শিবিরের এমএসএফ, এসিএফ, আইওএম এর হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। একের পর এক ভুল চিকিৎসার কারণে অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী-শিশু প্রাণ হারিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে এসব হাসপাতাল সংশি¬ষ্টদের বিরুদ্ধে। এমএসএফ হাসপাতালের ডাক্তারদের অবহেলায় রোহিঙ্গা শিবিরের নতুন টালের বি-১ ব¬কের মোঃ হোসেনর ছেলে আলী জুহারের একটি বাম পা হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। দীর্ঘ ৩/৪ মাস ধরে আলী জুহার (২২) এর বাম পায়ের হাটুর উপরে ফোড়ার মত পচন ধরে। এ অবস্থায় তাকে প্রথমে এমএসএফ হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ ফারুকের নিকট নিয়ে যাওয়া হলে কোন সেবা না দিয়েই তাড়িয়ে দেয়। ডাক্তারদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় আলী জুহারের মত আরো অসংখ্য বিভিন্ন রোগীদের জীবন সংকটের মুখে পড়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় রোহিঙ্গা যুবক আলী জুহার কোন উপায়ান্তর না দেখে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানেজেশন ফর মাইগ্রেশন নামের একটি এনজিওতে কর্মরত ডাক্তার শামীমূল হকের নিকট পুনরায় চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়। তিনি গতকালই তাকে ১ সপ্তাহ ওষুধ পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এতে সে আরো শংকিত হয়ে পড়ে। কারণ যে কোন মুহুর্তে তার বাম পা টি কেটে ফেলা হতে পারে।
স্থানীয় সাধারণ রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে কর্মরত এনজিওদের হাসপাতাল গুলোতে অসুস্থ রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। যদিও কর্মরত এসব ডাক্তারদের উচ্চ বেতনের চাকুরী সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে আসলেও বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা অসুস্থ রোগীরা। নতুন টালের ক্যাম্প সেক্রেটারী মাষ্টার রাকিবুল¬াহ বলেন, ডাক্তারদের উদাসিনতার কারণে আলী জুহারের একটি পা হারিয়ে যেতে বসেছে। তার বাম পায়ে পচন ধরে তা ধীরে ধীরে পুরো শরীরিরে আক্রান্ত করতে পারে। তিনি সংশি¬ষ্ট ডাক্তার ও এনজিও কর্তৃপক্ষকে অসুস্থ রোহিঙ্গা রোগীদের ব্যাপারে আরো বেশী আন্তরিক ও যতœবান হওয়ার দাবী জানান।
এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ এসএম সরওয়ার আলমের নিকট জানতে চাইলে বিষয়টি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তা খতিয়ে দেখার পর সংশি¬ষ্ট এনজিও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।