উখিয়ার উপজেলার ৫নং পালংখালীর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী এবং পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত অফিস থেকে দৈশীয় তৈরী ৩টি এলজি, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ৫টি কিরিচ উদ্ধার করেছে। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ এসব অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে ডিবি পুলিশ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌধুরী।
উক্ত ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার এবং পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজল কাদের ভুট্টো সহ কয়েকজন এলাকাবাসি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জনপ্রতিনিধি অফিস থেকে যদি অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার হয়, জনপ্রতিনিধি যদি আতংক হয়ে উঠে তাহলে নিরহ জনগণ কোথায় যাবে। যাদের অফিস থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হউক।
পালংখালী ইউনিয়নের অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার বলেন, এটি একটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র, আমার প্রতিপক্ষ ফজল কাদের ভুট্টো দীর্ঘদিন ধরে আমাকে এ ধরনের ঘটনায় ফাঁসানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। আমাকে অনৈতিক ভাবে ফাঁসানো জন্য পরিকল্পিত ভাবে অস্ত্র রেখে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম পালংখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের অফিসে অভিযান চালিয়ে ৩টি এলজি,২ রাউন্ড কার্তুজ, ৫টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসব অস্ত্রসস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় ছাঁদ থেকে উদ্ধার করায় কে বা কারা এতে জড়িত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হবে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উক্ত ২ যুবলীগ নেতা ও পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এ অফিসটি ব্যক্তিগত অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। সেখানে দলীয় কার্যক্রমসহ বিচার-শালিস করা হয়। বলতে গেলে উম্মুক্ত একটি জায়গা এটি, সেখানে কিভাবে অস্ত্রসস্ত্র আসল তাদের বুঝে আসেনা। স্থানীয় হাবিবুর রহমান, আলমগীর নিসা, লুৎফর রহমান সহ অনেকে গতকাল ১মার্চ সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে জানান, তারা অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার সময় অফিসে ছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এসে তাদেরকে অফিস ত্যাগ করার কথা বলেন, এবং আলমগীর নিসা নামে ছেলেটিকে অফিসে ছাঁদে উঠার কথা বললে সে উঠে, তখন সেখানে কোন অস্ত্র দেখেননি বলে সাংবাদিকদের জবানবন্ধি দেন সে। কিন্তু পরোক্ষণে ডিবি পুলিশ সেখান থেকে এসব অস্ত্রসস্ত্র গুলো উদ্ধার করেন।
পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের অফিস থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আমি মর্মাহত। তবে বিষয়টি গভীর ভাবে খতিয়ে দেখে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।