উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ উখিয়াঘাট বালুখালী গ্রামে অবস্থিত এ ডাকঘরটি দীর্ঘদিনেও কোন মেরামত ও সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জনগুরুত্বপুর্ণ ও সরকারি ডকুমেন্ট নষ্ট হওয়ার পাশপাশি অস্থিত্বহীন হয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। এই ডাকঘরের দায়িত্ব পালন করছে বালুখালী এলাকার সাবেক মেম্বার আলী হোছন। তিনি নিজে দায়িত্ব পালন না করে স্থানীয় হামিদুল হক নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে উক্ত ডাকঘরের সবকাজ চালিয়ে যাচ্ছে আলী হোছন। যাতে করে উক্ত ব্যক্তি অবহেলা, অযতœ ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছামত ডাকঘর খোলে ও বন্ধ করে। ডাকঘরটি বালুখালীতে হলেও এটির দেখাশোনা করেন বান্দরবান ডেপুটি পোষ্ট অফিস।
অন্যদিকে এ ডাকঘরে সংরক্ষিত সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ায় জনমতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে উক্ত ডাকঘরের নিয়ম-শৃংখলা ও ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান ইডিএ আলী হোছনকে পরিবর্তন করে নতুন একজন দক্ষ ও শিক্ষিত লোককে ইডিএ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এলাকার সচেতন মহলের পক্ষ বালুখালী নবারণ সংস্থার সভাপতি নুরুল আমিন ছিদ্দিক উক্ত বান্দরবানের ডেপুটি পোষ্ট মাস্টারের বরাবরে গত ২মাস পুর্বে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পোষ্ট অফিসটি নাম সর্বস্ব। প্রথমে দেখে মনে হয় যেন এটি একটি গোয়াল ঘর। কিন্তু কাছাকাছি গিয়ে দেখা গেল ডাকঘর লিখানো একটি ছিঁকা। যে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। দরজা, জানালার ফটক থাকলেও নেই কোন দরজা,জানালা। ২টি ভাঙ্গা টেবিল, ১টি চেয়ার রয়েছে এই জরাজীর্ণ ঘরে। এসময় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগ করে বলেন, ইডিএ আলী হোছন এটি নাম সর্বস্ব রেখে কার্যক্রম চালায় তার নিজস্ব বাসায়। এই অফিসের ল্যাপটপ থেকে শুরু করে যাবতীয় মালামাল সামগ্রী তার বাসার কাজে ব্যবহৃত। এ বিষয়ে আলাপ করার জন্য আলী হোছনের ফোন নাম্বারে অনেক চেষ্ঠা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।