কক্সবাজারে উখিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের চিহ্নিত চোরাচালীন এলাকা ও সন্ত্রাসের জনপদ নামের খ্যাত বালুখালী এলাকায় আবারো ইয়াবা সিন্ডিকেটের হোতারা মাথা সাড়া দিয়ে উঠছে। ঘটছে এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ অহরহ অপরাধ প্রবণতা। এতে শংর্কিত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
ইতিপূর্বে এ এলাকা ইয়াবা পাচারকারীদের নিরাপদ আস্তানা হওয়ার কারন হচ্ছে এলাকাটি নাফ নদীর মোহনার সম্বলিত পয়েন্ট হওয়ায়। বালুখালী শিয়ালিয়া পাড়া এলাকার একটি চোরাচালীন সিন্ডিকেট বাংলাদেশ-মায়ানমারের নাফ নদী হয়ে নিয়ে আসে প্রতিনিয়ত ইয়াবার বড় বড় চালান। এ চালানের নিয়ন্ত্রণ থাকে আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার তালিকায় নাম থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দুর্নীতি মামলার চার্জসিটভূক্ত পলাতক আসামী বহু অপকর্মের খল-নায়ক ফজল কাদের ভূট্টো ও তার বাহিনী।
ভূট্টো বাহিনীর সাথে ইয়াবা সিন্ডিকেটে রয়েছে বালুখালী এলাকার নুর অাহম্মদের ছেলে গাড়ীর শ্রমিক সৈয়দ নুর, তার বোন জামাই মাহামুদুল হক( বার্মায়),অাবু বক্করের ছেলে অানোয়ার প্রকাশ (বিকাশ অানোয়ার), চুরি কামাল, কলিমুল্লাহ, জামাত নেতা আকবর আহমদ, বিএনপির নেতা জাফর ইকবাল। এসব ইয়াবার পাচারকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। এ সিন্ডিকেট বালুখালীর আবওহায়া ও পরিবেশকে দিন দিন নষ্ট করে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন প্রায় ১৭টি মামলার আসামী সাবেক যুবলীগ নেতা নামধারী ফজল কাদের ভূট্টো নেতৃত্বে এলাকায় নতুন করে সন্ত্রাসীরা ত্রাস সৃষ্টি করছে। নিরহ মানুষ ও এলাকার জনপ্রতিনিধিকে হয়রানী করার জন্য অস্ত্রবাজি করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হবে বলে তিনি দাবী করেন।গত ইউপি নির্বাচনে পুর্বে ভুট্রোর নেতৃত্ব বালুখালী বাজারে প্রকাশ্য অস্ত্র মহড়া দিয়ে, অাওয়ামীলীগ নেতা হাজী অাবদুল মজিদকে হত্যা চেষ্টা মামলার (উখিয়া থানা মামলা নং১৪)এর প্রধান অাসামী,
এদিকে সন্ত্রাসী ভূট্টো বাহিনীর হাতে এলাকার মানুষ দিন দিন জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজ ও সচেতন ব্যক্তিরা।বালুখালী এলাকার সাবেক মেম্বার সেলিম জাহাংগীর ও মৌলভী গফুর উল্লাহ জানান,ভুট্রো দিন দিন এলাকার শান্ত পরিবেশ কে অশান্ত করে অাসছে,তার নেতৃত্ব এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়,এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ওসি অংসা থোয়াইং বলেন, বালুখালীতে গত ১ এপ্রিল ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে পান বাজার ষ্টেশনের একটি খোলা দোকান থেকে দেশীয় তৈরি এল.জি ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র কার তা তদন্ত চলছে এবং এ অস্ত্রাদি সন্ত্রাসী ভূট্টো বাহিনীর কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানার জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেছেন, পালংখালীর আনজুমানপাড়া বটতলী ও বালুখালীকে ষ্পর্শকাতর এলাকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরাধী, অস্ত্রধারী, ইয়াবা পাচারকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে পুলিশের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এব্যাপারে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, উখিয়ার কোন গ্রামগঞ্জে ও বিশেষ এলাকায় ইয়াবা পাচারকারীরা যাতে আধিপত্য বিস্তার করে শান্ত জনপদকে অশান্ত করতে না পারে তার জন্য আওয়ামী লীগ ও প্রত্যেক অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের সোচ্চার থাকতে হবে। একই সাথে ইয়াবা ও সন্ত্রাস নৈরাজ্য দমনে পুলিশ প্রশাসনকে আরো কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালনে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।