কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে ক্রিকেটে (বাজি) জুয়া খেলা মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এই সব খেলায় জড়িত উখিয়া, কোর্টবাজার, রুমখাঁ পালং, রত্নাপালং, সোনার পাড়া, মরিচ্যা সহ বেশ কিছু এলাকার জুয়াড়িরা তরুণ, ছাত্র, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ এসব বাজিতে (জুয়া) জড়িয়ে গেছেন। অনেকে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন।
কিন্তু এনিয়ে তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। বরং নানা কায়দায় অর্থ সংগ্রহ করে নতুন জুয়া খেলায় মেতে উঠেন।
কয়েক জন ক্রিকেট জুয়াড়ির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এরা এজেন্টের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে জুয়াড়িরা খেলা শুরুর আগে কয় উইকেটে কোন দল জিতবে, কোন খেলোয়াড়ের কত ওভার মেডেন হবে, কত ওভারে কত রান হবে, কোন খেলোয়াড় হাফ সেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরি করবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত বুঝিয়ে তারপর বাজি ধরা হয়, খেলা শেষে এজেন্ট তার সুবিধাজনক স্থান ও সময়ে পরাজিত জুয়াড়ির কাছ থেকে টাকা নিয়ে জয়ী জুয়াড়ির কাছে হস্তান্তর করে।বিনিময়ে এজেন্টরা জয়ীদের থেকে প্রতি হাজারে একশত টাকা করে কমিশন পায়।
কিন্তু হাজার হাজার টাকার খেলা চললে ও কেউ কাউকে ঠকায় না । ধর্ম ঠিক রেখে অনেকটা বিশ্বাসে চলে এ জুয়া । মুহুর্তেই টাকা লেনদেন সেরে ফেলা হয়। এ জুয়ায় যোগ দিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে অনেক স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, ব্যবসায়ীরা। এই অত্যাধুনিক জুয়া সম্পর্কে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ছাএ এ এইচ তারেক রণি বলেন, এই সব অাধুনিক জুয়া খেলায় বাজি ধরে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এখন পথে বসে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে এক পর্যায়ে যুবসম্প্রদায়, ব্যবসায়ীর সর্বনাশ, ছাত্রসমাজ ধ্বংসের পথে নিশ্চিত অবধারিত হবে বলে মনে করেন তিনি। এমত অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অনেকে জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে বসতবাড়ির অাসবারপত্র এবং স্ত্রীর স্বর্ণের জিনিস বিক্রি করছে। সংসার ভেঙ্গেছে অনেকের । প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এ জুয়া খেলা চলে। কিন্তু সম্প্রতি ওই জুয়া খেলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।