২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

উখিয়ার রেজু-মনখালী সাগর চ্যানেলে ঝাটকা ও মা মাছ নিধন অপ্রতিরোধ্য

index
উখিয়ার রেজু-মনখালী সাগর চ্যানেলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ঝাটকা,রেনুপোনা ও মা মাছ নিধন চলছে। প্রায় ৫ হাজার জেলে এ কাজে জড়িত। সরকারী ভাবে মৎস আইনের প্রয়োগ না থাকায় ঝাটকা নিধন অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। নিধনকৃত ঝাটকার মাত্র ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা গেলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বছরে কমপক্ষে ৫০লাখ টাকার মাছ রপ্তানী সম্ভব হবে। এমন অভিমত সচেতন মহলের।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উখিয়ার রেজু-মনখালী সাগর চ্যানেলে কমপক্ষে ১০ হাজার জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে জিবিকা র্নিবাহ করে আসছে। মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের অধিকাংশই নিরক্ষর। তারা জানেনা ঝাটকা, রেনোপোনা ও মা মাছ নিধন মৎস আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। তাই জেলেরা মাছ ধরার কাজে কোন নীতিমালা মানছেনা। অশিক্ষিত জেলেরা সাগরে বেশি মাছ পাওয়ার আশায় প্রতিনিয়ত কারেন্ট জাল, টানা জাল, রগ জাল,মশারী জাল, টলিং জাল, জগৎ বেট, ফাঁসি জাল সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব জালে মাছ আটকা পড়লে সাথে সাথে মারা যায়। কারেন্ট জাল ও মশারী জালের কারণে তিনিয়ত বিপুল পরিমান ঝাটকা, রেনুপোনা ও মা মাছ মারা পড়ছে ব্যাপক ভাবে। জেলেদের জালে ঝাটকা ও রেনুপোনা ধরা পড়লে তারা বড় মাছ গুলো সংরক্ষণ করে রেনুপোনা গুলো সাগরে ফেলে দেয়। যার কারণে সাগরে মাছের আকাল লেগেই রয়েছে। মৃত এসব মাছের কারণে সমুদ্রের পানিও দুষিত হয়ে যাচ্ছে। মনখালীর জেলা সোনা আলী, মোহাম্মদ শফির বিলের আব্দু মিয়া, ঘাট ঘর পাড়ার কালা মাঝি সহ অনেক জেলের অভিযোগ নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরা আইনত দন্ডনীয়  অপরাধ এ ব্যাপারে সরকারীভাবে কোন প্রচারণা নেই। জেলেদের নেই কোন প্রশিক্ষণ। জেলা ও উপজেলা মৎস সম্পদ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে নিরব। তাই জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে যাচ্ছে। কিছু কিছু শিক্ষিত জেলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছে। সোনার পাড়ার নুরু মাঝি, হাবিব উল¬াহ সহ অনেকেই অভিযোগ করে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল পরিমান রোহিঙ্গা নাগরিক নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রেজু-মনখালী সাগর চ্যানেলের জেলেদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে ঝাটকা, রেনুপোনা ও মা মাছ নিধনের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করে মাত্র ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা গেলে বছরে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার মাছ রপ্তানী করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ড. মঈন উদ্দিন জানান, নিষিদ্ধ জালের ব্যাপারে তিনি খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।