শহীদুল ইসলাম :
কক্সবাজারের উখিয়ার চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবারি জামাল কর্তৃক দায়ের করা মামলা খারিজ করেছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ), ঢাকা। এরা হলেন দৈনিক সৈকত এর উখিয়া প্রতিনিধি জসিম আজাদ, দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তা’র উখিয়া প্রতিনিধি শরীফ আজাদ, আমাদের সময় এর উখিয়া প্রতিনিধি পলাশ বড়ুয়া, ভোরের কাগজ এর উখিয়া প্রতিনিধি গফুর মিয়া চৌধুরী।
সম্প্রতি উখিয়ার কোর্টবাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ীর পল্লী চিকিৎসক জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতা ও অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার বিষয়ে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালনে ৪ সাংবাদিককে আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯ ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
বিজ্ঞ আদালত দায়েরকৃত অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসাবে নিবন্ধন করার পর পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত না পাওয়ায় পরবর্তিতে ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি খারিজ করে দিন।
এদিকে প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযুক্ত জামালকে তলব করেছে। দুদক প্রেরিত নোটিশে ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামস্থ দুদক কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। এ সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব, আয়ের উৎস সংক্রান্ত কাগজ, ব্যাংক হিসেব, জাতীয় পরিচয়, চেয়ারম্যান সনদ, জন্ম নিবন্ধন সহ অন্যান প্রয়োজনীয় কাজপত্র নিয়ে যেতেও বলা হয়।
উখিয়ার তে্লীপাড়ার গ্রামের নাছু মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমান সম্পদের মালিক বনে গেছেন। স্থানীয়দের মাঝে নানা ধরণের কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। তার বিপুল সম্পদ অনুসন্ধানের রাষ্ট্রের একাধিক তদন্ত সংস্থা মাঠে নেমেছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
ইতিমধ্যে পল্লী চিকিৎসক জামাল উদ্দিনকে বাঁচাতে উখিয়ার এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।
পল্লী চিকিৎসক জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি ও নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলায় ঢুকিয়ে দিবেন এমন কথা জনসম্মুখে বলে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুুক্ত পল্লী চিকিৎসক জামাল উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথে ফোন কেটে দেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।