উখিয়ার প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে আড়াই হাজারেরও অধিক নাম্বার, রুটপারমিট, ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল। অনটেষ্ট, প্রেস, আবেদিত লেখা নাম্বার প্লেট নিয়ে চলাচলরত অধিকাংশ অবৈধ মোটর সাইকেল অনৈতিক কাজে জড়িত রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। হাইওয়ে পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযানে নামলেও লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে এসব অবৈধ ক্ষুদ্রযানগুলো। ফলে সরকারও এ খাতে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলা উদ্দিন জানান, কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক পথের বিভিন্ন স্থানে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন উৎপেতে অবস্থান নিয়ে তল্লাসী চালানোর কারণে এসব অবৈধ ইজি বাইকগুলো মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে ইয়াবাসহ বিভিন্ন জাতের মাদকদ্রব্য পাচার করছে। লোকবল সংকট ও নিজস্ব যানবাহনের কারণে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পাচারকারী সিন্ডিকেটের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ হাতে নাতে ধৃত করা সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক অবৈধ চালকের সাথে কথা বলে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভারতের তৈরি এসব টানা মোটর সাইকেল গুলো সীমান্তের সাতক্ষীরা ও কুমিল্লা হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসছে। দামে কম হওয়ার কারণে এসব মোটর সাইকেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় উৎপাদিত ইজি বাইকগুলো বাজারজাত করণে ভাটা পড়েছে।
তারা বলেন, উখিয়ায় প্রায় আড়াই হাজারের অধিক মোটর সাইকেলের মধ্যে প্রায় হাজারের মত টানা গাড়ী রয়েছে যেসব গাড়ী গুলোর কোন কাগজপত্র নেই। ইজি বাইকে ইয়াবা পাচার সহজতর হওয়ার কারণে উখিয়ার আনাছে কানাছে হাত বাড়ালে পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা মরণনেশা ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য। এদিকে প্রেস লেখা এক শ্রেণির ইজি বাইক নিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারাও বিভ্রত বোধ করতে দেখা গেছে। স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিকেরা জানান, এসব প্রেস লেখা গাড়ী গুলোর মালিক পক্ষ আসলেই কি প্রেসের লোক তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম খান জানান, এসব অবৈধ ইজি বাইকগুলো আটকের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযানে নামলে গাড়ী গুলো সটকে পড়ার কারণে আটক করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।