কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রেজু নদীর উপর একটি ব্রীজের অভাবে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। রত্নাপালং ও রাজাপালং ইউনিয়নের সংযোগস্থলে তথা রেজুরকুল গ্রামের ব্রীজটি নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের।
সরেজমিনে জানা যায়, রেজু নদীর উপর ব্রিজটি নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহু আবেদন-নিবেদনও করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ পথে যাতায়াতকারী ২০ সহস্রাধিক মানুষের ।
উখিয়া উপজেলার রেজু নামক এ নদীটি পার হয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন যাতায়াত করে থাকে। এখানে ব্রিজের অভাবে কৃষকের উৎ্পাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদি পশু পারাপারের সময় তাদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বর্ষা মৌসুমে কোমলমতি শিশু-কিশোররা নদী পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে পারে না।
গ্রামবাসীর অর্থায়নে ১টি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বন্যার পানিতে সেতুটি বিধ্বস্ত প্রায়। অবহেলিত গ্রামবাসীরা বিধ্বস্ত সেতু দিয়ে রশি বেয়ে কোন রকম পারাপারের ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে প্রায় সময় দূর্ঘটনা ঘটে আহত হচ্ছে পথচারী।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, বর্ষা মৌসুম শেষে ইউ.পির বরাদ্ধ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে পিলার দিয়ে ব্রীজটি জনচলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ভুক্তভোগী ও কলেজ শিক্ষক শাহ আলম জানান, গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তৈরি কাঠের ব্রীজটিও বন্যার পানির স্রোতে জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে চেয়ারম্যান( ইউপি) থেকে বরাদ্ধের মাধ্যমে একটি ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও তিনি জানান ।
দীর্ঘকাল যাবত সরকারের পক্ষ থেকে ব্রীজ নির্মাণের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সেহেতু ব্রীজটি পুন:সংস্কারে গ্রামবাসী ও উভয় পাড়ের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান শিক্ষক মিলন কুমার বড়ুয়া।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী সোহারাব হোসেন বলেন, ব্রিজটি ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পাঠানো হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।